ফাল্গুন মাসের প্রথম দিকেই দেবীর বাৎসরিক পূজা হয়ে থাকে। জানা গিয়েছে, এক সময় কালীপুজোর দিনেই পুজো হত। কিন্তু ঘটনাক্রমে এলাকার এক বৃদ্ধার একমাত্র ছেলে হারিয়ে যায়। তিনি মা কালীর কাছে প্রার্থনা করেন যদি তার ছেলেকে মা-কালী খুঁজে এনে দেন তাহলে তিনি ফাল্গুন মাসেই মায়ের পুজো দেবেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ ধরনের মোজায় এ কী নিয়ে পাচার করছিল যুবক, তোলপাড় শিলিগুড়ি
advertisement
একদিন সেই বৃদ্ধার ছেলে সকালে বাড়িতে এসে হাজির হয়। তিনি তার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কী ভাবে সে বাড়ি এল? তার উত্তরে ছেলে জানায় এক বুড়ি তাঁকে বাড়িতে দিয়ে যায়। সেই থেকেই এখানে ফাল্গুন মাসে পুজো হয়ে থাকে দেবীর। আর এই বড় কালীর নামানুসারে এখানকার জনপদের নাম হয় ওঠে কালীরহাট ।
আরও কথিত আছে যে, বড় কালী মন্দিরের পাশের রাস্তাটির নাম দেওমালী। প্রতিবছর মহাধূমধামে এখানে পূজা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশ থেকে দর্শনার্থীরা এখানে পুজো দিতে আসেন। পুজো উপলক্ষে পাঁচ দিন বিরাট মেলার আয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: গৌরবকে গুলি গৌরবের! বন্ধুত্বের বিষে চলল বন্দুক
আগে পুরোন মন্দিরে পুজো হলেও মন্দির কমিটি নতুন করে মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তবে অর্থের অভাবে মন্দির নির্মাণের কাজ থমকে রয়েছে। স্থানীয়রা মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারি সহায়তা দাবি করছেন।
পুজো কমিটির সভাপতি বিষ্ণুপদ রায় বলেন, “কালীহাটের বড়কালী মন্দিরে দূরান্ত থেকে মানুষ পুজো দিতে ছুটে আসে। সরকারি সাহাস্য পেলে মিন্দর নির্মাণে সুবিধা হবে।” কালীপূজা কমিটির অন্যতম সদস্য সুভাষ রায় ও উত্তম রায় বলেন, “আমরা নিজেদের প্রচেষ্টায় এবং সহৃদয় ব্যক্তিদের সহায়তায় নতুন মন্দির নির্মাণ করছি।”
সুরজিৎ দে