২০১০ সাল থেকে এই সিনেমা তৈরির স্বপ্ন দেখছেন শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরের দেশবন্ধুপাড়ার অভিজিৎ শ্রী দাস। ইচ্ছে ছিল টলিউডের (Tollywood) কিংবদন্তি শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই এই সিনেমা বানানোর। সেই প্রস্তাব দিয়েও বসেন উত্তরের এই পরিচালক। প্রবীণ শিল্পী এই প্রস্তাবে মাথাও নাড়ান। তবে তাঁর অকাল প্রয়াণে ব্যথিত হয়ে পড়েন অভিজিৎ। মেন্টর (mentor) হারানো যাকে বলে। নিজের বহুদিনের সেই স্বপ্ন ভাঙতে দেখে আশাহত হয়ে পড়েছিলেন অভিজিৎ। সৌমিত্রবাবুর চলে যাওয়া মানতে পারছিলেন না অভিজিৎ। 'বিজয়ার পরে...অটাম ফ্লাইজ' তৈরিতে অভিজিতের সঙ্গে প্রযোজক হিসেবে থাকবেন শিলিগুড়ির (Siliguri) বিশিষ্ট আইনজীবী সুজিত রাহা।
advertisement
ভেবেছিলেন সৌমিত্রবাবুর তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন ও শিখবেন অভিজিৎ। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠল না। অন্যথা নিজেকে কোনওরকমে সামলে নিয়ে ফের ময়দানে নামলেন অভিজিৎ। এই ছবির শুটিং (shooting) খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। এই প্রথম উত্তরেরই পরিচালক এবং প্রযোজক জুটি বাঁধতে চলেছে। প্রথমে ভেবেছিলেন মূলে থাকবেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং শর্মিলা ঠাকুর। কিন্তু সৌমিত্রবাবু গত হওয়ার পর সেটা আর হয়ে উঠল না। ফের নতুন করে সবকিছু ভেবে মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন মমতা শঙ্কর ও দীপঙ্কর দে। মমতা শঙ্করের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। পর্দায় তাঁর স্বামী হবেন মীর! ছবিতে সুর দেবেন রণজয় ভট্টাচার্য, সিনেমাটোগ্রাফিতে রয়েছেন সুপ্রিয় দত্ত।
এদিন নিউজ ১৮ লোকালকে (News 18 Local) পরিচালক অভিজিৎ বলেন, 'বয়স্কদের গল্প করার জায়গা কোথাও একটা কমে যাচ্ছে। এই নিয়েই আমাদের সিনেমা। প্রবীণদের মনকেমনের গল্প নিয়েই এই কাজ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাকি রয়ে যায় অনেক কথা, অনেক গল্প। প্রবীণরা নিজেদের গল্প শোনানোর লোক পান না। তাঁদের কথা হয়ত একটা সময়ের পর কেউ মন দিয়ে শোনে না বা পাত্তা দেয় না। তাঁদেরই গল্প শোনাবে আমাদের সিনেমা।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রযোজক ব্যবসায়ী নন। তাই ক্রাউড ফান্ডিংয়ের (Crowd Funding) সাহায্য নেওয়া হয়েছে। সিনেমার শুটিং আপাতত কলকাতাতেই হবে। পুরীতেও বিভিন্ন শুট থাকবে। তবে যেহেতু আমি উত্তরের ছেলে, তাই দার্জিলিং নিয়ে অনেককিছু ভেবেছি। চেষ্টা করব দ্রুত সবকিছু জানানোর।'
এদিকে শিলিগুড়ির সিনেমাপ্রেমীরা অপেক্ষায় রয়েছেন, কবে মুক্তি পাবে এই সিনেমা। নিজের শহরের দুই ছেলে পরিচালক ও প্রযোজক। তাঁরা কাজ করছে স্বনামধন্য সব শিল্পীদের সঙ্গে। এর থেকে গর্বের বিষয় আর কী হতে পারে শিলিগুড়িবাসীর কাছে। এ যেন শুধু অভিজিতের নয়, সম্পূর্ণ শিলিগুড়ির স্বপ্নপূরণ!
Vaskar Chakraborty