Bhai Phonta Market Price: ভাইফোঁটার আগে সস্তা হল বাজার! জলপাইগুড়িতে মাংস ও সবজির দামে স্বস্তি, ইলিশের দাম কত?

বাজারে নিয়ে যান বড় ব্যাগ! ভাবছেন তো কেন? কারণ, ভাইফোঁটার আগে যে সস্তা হল বাজার। দারুন স্বস্তির খবর! জলপাইগুড়ির বাজারে স্থিতিশীল দাম হওয়ায় ভাতৃদ্বিতীয়ার আগে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা।

রাত পোহালেই ভাইফোঁটা। বোনেদের এখন বেজায় ব্যস্ততা, ভাইদের জন্য স্নেহভরা থালায় সাজবে নানা রকম পদ। উৎসবের আগে বাজার ঘুরে দেখা গেল সবজি ও মাংসের দামে বড়সড় কোনও উত্থান-পতন নেই। ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, “চাহিদা বাড়লেও জোগানে তেমন সমস্যা নেই। তাই দাম বাড়ানোর প্রয়োজন পড়েনি।”

দেশি খাসি ও পাঠার মাংস বিক্রি হচ্ছে ₹৭৫০ থেকে ₹১০০০ প্রতি কেজি দরে। তবে তাঁরা সতর্ক করে দিচ্ছেন খাসি ও পাঠার মাংসের পার্থক্য বোঝার জন্য গায়ের চিহ্ন দেখে তবে কিনতে। অনেকেই এই ভুলেই ঠকছেন।

সবজি বাজারেও দেখা গেছে স্থিতিশীলতা। বেগুন সেঞ্চুরি ছোঁয়ায় ক্রেতারা কিছুটা বিরক্ত হলেও, অন্য সবজির দাম অনেকটাই সাধারণ। শসা ৫০, ফুলকপি ৫০–৬০, ক্যাপসিকাম ১০০–১৫০, আলু ২০, লাউ ৫০, করলা ৭০, ঝিঙ্গা ৮০, মূলা ৬০, কুমড়ো ১০–১৫, পটল ৫০–৬০, ঢেঁড়স ৮০, কাঁচা লঙ্কা ৮০, পেঁয়াজ ২০–২৫, আদা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসা বন্ধ থাকলেও বাজারে দেখা মিলছে মায়ানমার থেকে আমদানি হওয়া বড় সাইজের ইলিশের। ওজন প্রায় এক কেজির বেশি, দাম ১৫০০–১৮০০ প্রতি কেজি। পাশাপাশি, ডায়মন্ড হারবারের ইলিশও রয়েছে ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে।

উৎসব মানেই একটু বিশেষ খাবার। তাই ভাইফোঁটার আগে বাজারে ভিড় থাকলেও, দাম হাতের নাগালে থাকায় খুশি জলপাইগুড়ির মানুষ। বিক্রেতা-ক্রেতা দুই পক্ষই বলছেন,“উৎসবের আনন্দ থাকুক, দাম নিয়ে যেন চিন্তা না থাকে!”