এদিন এক অভিভাবক তো অভিযোগের সুরেই বলে ফেললেন, "এতদিন স্কুল বন্ধের কোনও কারণই ছিল না। সিনেমা হল থেকে শুরু করে শপিং মল সবটাই যখন খুলে গিয়েছিল, তখন শুধু স্কুলগুলিই বন্ধ ছিল। কারণ এখনও পর্যন্ত আমরা বুঝতে পারলাম না।" তিনি আরও বলেন, "আমার ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। কাল থেকে যথেষ্ট খুশি। কারণ ওর জন্য নতুন স্কুল। আর আজ নতুন ক্লাস। সরকারের এই পদক্ষেপে খুবই খুশি আমি একজন অভিভাবক হিসেবে।"
advertisement
ষষ্ঠ শ্রেণির আরেক ছাত্রের বাবা বলেন, "সব ছাত্রদের থার্মাল স্ক্যানিং করে, হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে স্কুলে ঢোকানো হচ্ছে। এমনকি যাদের মাস্ক ময়লা বা নোংরা, তাদের নতুন মাস্কও দেওয়া হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এমন আয়োজনে একজন বাবা হিসেবে আমি খুশি।"
নেতাজি উচ্চতর বালক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রাজীব ঘোষ News 18 Local-কে বলেন, "একজন শিক্ষক হিসেবে শুধু আমার স্কুল বলে নয়; আজ রাজ্যের প্রত্যেকটি স্কুল প্রাণ ফিরে পেল। আগে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলাকালীন স্কুলগুলি অর্ধ জীবন পেলেও, আজ থেকে সমস্ত স্কুলগুলো পূর্ণ প্রাণে প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে উঠেছে। এদিন ৫০ শতাংশের অধিক উপস্থিতির হার। তবে লক্ষ্য করার জায়গা হল বহু ছাত্ররা আজ ইউনিফর্মেও আসেনি। জিজ্ঞেস করা হলে তারা উত্তর দেয়, কারোর প্যান্ট ছোটো হয়েছে, কারোর শার্ট টাইট হয়ে গেছে। কিন্তু তারা ক্লাস করতে এসেছে। এই স্পিরিটটাকে সম্মান জানিয়ে আমরা ওদের অনুমতি দিই সেইসঙ্গে এটাও বলি যেন তারা জলদি ইউনিফর্মটা রেডি করে নেয়।"
তবে যাদের আর্থিক অবস্থা ততটা সচ্ছল নয়, তারা কি করবে প্রশ্ন করা হলে হেডমাস্টার মশাইয়ের জবাব, "আমরা আছি তো। ওরা আমাদের সন্তান। আর সন্তান তার সমস্যার কথা আমাদের জানাবে এটাই প্রত্যাশিত। তবে হ্যাঁ, এখনও তেমন কোনও পরিস্থিতি আসেনি আমার কাছে। এলে অবশ্যই সুরাহা হবে।"