আরও পড়ুন: হেরিটেজ শহরের যত্রতত্র আবর্জনার পাহাড়, বাইরে থেকে এলে ডাম্পিং গ্রাউন্ড ভাবতে পারেন!
জলপাইগুড়ির এই দুই গ্রামের মানুষ এখন করলা নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু চাইছে। এ অবশ্য তাঁদের আজকের দাবি নয়, দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের কেউ কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। সারদাপল্লির বাসিন্দা নেপাল দাস ও দীপালি মণ্ডল বলেন, জলপাইগুড়ি শহরে নিত্যদিন যেতে হয়। অল্প সময়ে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে করলা নদী পার হয়ে নাজিরপাড়ার উপর দিয়ে গেলে সুবিধে হয়। কিন্তু বাঁশের যে সাঁকোটি পেরতে হয় তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।
advertisement
প্রসঙ্গত, এখন নদীতে জল কম থাকায় এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই যাতায়াত চলছে। কিন্তু বর্ষার সময় নদীর জলের তোড়ে বাঁশের ভঙ্গুর সাঁকো ভেসে যায়। তখন নৌকায় করে পারাপার করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। তবে সব সময় নৌকা পাওয়া যায় না, ফলে ঘুরপথে ডিএম অফিসের সামনে দিয়ে যেতে হয় শহরে। এই করলা নদীর দুই পাশেই দুইপাড়ের বাসিন্দাদের জমি আছে। কৃষি কাজের জন্য চাষিদের নদী পেরতেই হয়। কিন্তু বাঁশের সাঁকো থাকায় বর্ষাকালে নদী পেরোতে তাঁদের প্রবল সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এই বিষয়ে খড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুভাষ চন্দ বলেন, এর আগে খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ওই বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করার জন্য বিডিও অফিসে জানানো হয়েছিল। কিন্তু নদীর বেট অনুযায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরিতে উচ্চতা এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে তাতে যাতায়াতের সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ওখানে প্রশাসনিক উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। জেলা পরিষদে পাকা সেতুর কোটেশন জমা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। সেই পাকা সেতু তৈরি হয়ে গেলে দুই গ্রামের মানুষের সমস্যা অনেকটাই কমবে।
সুরজিৎ দে