কথিত আছে বহু বছর আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা জমি চাষাবাদ করেও আশানুরূপ ফসল উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে কার্যত ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল এলাকার কৃষকদের। সেই সময় এলাকার বাসিন্দা স্বপ্নাদেশ পান বলেই স্থানিও সূত্রে জানা যায়। তারপরই এলাকার বাসিন্দারা মিলে ধন দৌলতের দেবতা ভান্ডারী দেবের পূজার্চনা শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাল নদীর দুর্ঘটনার তদন্ত চেয়ে প্রধান বিচারপতি সহ গ্রিন ট্রাইবুনালে আবেদন
প্রসঙ্গত পুজো কমিটির সদস্য খিরোধ অধিকারী জানালেন বর্তমান পুজো প্রাঙ্গণটি একটি সময় চেকেন্দা কাটা গাছে ভর্তি ছিল বলেই স্থানীয় পুজোটি চেকেন্দা ভান্ডারী পুজো রূপে পরিচিতি পায়। রাজবংশী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষেরা প্রথম বছর পুজো করার পর গোটা এলাকার আর্থিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়। সেই সময় কাল থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অংশের মানুষ ভান্ডারী দেবের পুজোতে অংশগ্রহণ করে চলেছেন। পুজো কে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের মেলার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল রাত যত অধিক হয় ততোই লোকের জমায়েত বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুনঃ আশ্বাস আছে সুরাহা নেই, ছাউনির মধ্যেই চলছে স্বামী স্ত্রী'র জীবন!
ইতিমধ্যেই মেলাকে কেন্দ্র করে মেলা প্রাঙ্গণে নাগরদোলা সার্কাস জাম্বো ট্রেন বিভিন্ন প্রদর্শনীসহ নানান সামগ্রী পসরা সাজিয়েছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দোকানির দল। ভান্ডারী পুজো কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে সমগ্র ক্রান্তি ব্লক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন। এলাকার যে সমস্ত মেয়েদের বিবাহ বাইরে হয়েছে তারাও পুজোর এইসময় মেলা দেখবার জন্য নিজ গৃহে ফিরে আসেন বলেই এলাকাবাসীর তরফে দাবি করা হয়েছে।
Surajit Dey