শুধু যে জীবনকৃষ্ণ তাই নয়, সুদূর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা থেকেও বহু পরিযায়ী কৃষক এই তিস্তার চরেডেরা করে শীতের রকমারি ফসল ফলানোর জন্য।রীতিমতো পরিবার নিয়ে ধুধুপ্রান্তরে এই মুহূর্তে বসবাস করছে প্রায় চার হাজার মানুষ। উদ্দেশ্য একটাই, তিস্তার উর্বর চড়ে মটরশুঁটি, বিনস, আলু, শীম থেকে শুরু করে মরশুমি সবজি উৎপাদন। মোবাইলের মাধ্যমে চলে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জেলা শিল্প কেন্দ্রে শুরু হল হস্তশিল্প মেলা ও প্রদর্শনী
নদীর চরের মাঝখানে এবার ডেরা গেড়েছে সুন্দরবন থেকে আসা অজিত সর্দার, নিজের ভাই ঘর ছেড়ে এতো দূরে পেটের দায়ে পরে আছে, দাদার মন কি মানে। তাই পথ ঘাট জানা নেইতবুও কাঁধে ব্যাগ নিয়ে সুন্দরবন থেকে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা এক ব্যাক্তির মুখোমুখি হতেই বোঝা যায় কত দুর্গম পথ, সেই পথ পেরিয়ে পৌঁছতে হয় ভাইয়ের কাছে। তিস্তা নদীর ওপারের ব্লক ক্রান্তি, সেই ক্রান্তির বাসিন্দা হলেও কৃষি জমি না থাকায় নদীর এপারে চড়ে চলে আসেন এই উদ্যমি যুবক।
আরও পড়ুনঃ সকলের জন্য এক আইন, জাতীয় লিগ্যাল সার্ভিস ডে-তে সচেতনতা শিবির
পুরো শীত কাল চাষ আবাদ করে আবার ফিরে যান নিজের বসতভিটায়। তিঁনিই জানালেন, এমন মানুষ রয়েছে চাষ করছে, অনেকেই আছে সুন্দরবন, চন্দন নগর থেকে আগত। জমি উর্বর, ফলন ভালো হয়, তবে প্রতিটি রাত কাটে আতঙ্কে, কারণ মাঝে মধ্যেই হানা দেয় বুনো হাতির পাল। তবুও দাঁতে দাত চেপে গোটা শীতকাল ধরে চলে পরিযায়ী কৃষকদের এক অদৃশ্য সংগ্রাম।
Surajit Dey