কম বেশি সকলেই কিন্তু এই শাক বিষয়ে পরিচিত। স্যালাড থেকে শুরু করে স্যান্ডউইচ, বারগার সবেতেই এর উপস্থিতি দেখা যায়। রাজ্য সরকারেরপ্রকল্পের মধ্য দিয়ে লেটুস পাতা চাষ হচ্ছে জৈব পদ্ধতিতে। লেটুস চাষ করতে খরচ হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ।
কী ভাবে চাষ করবেন এই লেটুস? সাধারণভাবে মাটিতে ৫ থেকে ৬ দিন আগে ভেজানো সরিষার খৈল মাটির সঙ্গে মেশালে তা লেটুস চাষে খুব উপযোগী। লেটুস চাষের অনূকূল সময় হল ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি পর্যন্ত। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বীজ থেকে চারা তৈরি করা হয় এবং সেই চারা চাষিরা রোপন করতে পারবেন । সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় বিকেলে এই চারা গাছ লাগাতে হয়। চারা রোপনের সময় চারার গোড়ার মাটি খুবই হালকাভাবে চেপে দিতে হয় যাতে চারার নরম শিকড় চাপে ছিঁড়ে না যায়। চারা লাগানোর পর ৩ থেকে ৪ দিন ঢাকনা দিয়ে চারাকে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে হবে এবং সকাল-বিকাল চারার গোড়ায় জল দিতে হবে। যদি লেটুস চারার চার পাশে খড় বিছিয়ে দেওয়া হয় তা হলে জলের প্রয়োজন হয় না ।
advertisement
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বোঝাপড়া করেছিলেন শুভেন্দু? বিধানসভায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মমতা
লেটুস চাষ নিয়ে কৃষি দফতর আধিকারিকর ডঃ মেয়ফুজ আলম জানান, উওরবঙ্গের আবহাওয়া খুব ভাল। এখানে অন্য চাষের সঙ্গে লেটুস চাষ করা যেতে পারে । এই বিষয়ে রাজ্য সরকার বিভিন্নভাবে সহায়তা করবে । যাঁরা এই চাষে আগ্ৰহী, তাঁদের কৃষি দফতর থেকে লেটুস চাষ সহায়তা করবেন ।এই চাষ করছে এমন একজন কৃষক তরুণ রায় জানান, এই প্রথম লেটুস চাষ করছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। লেটুস পাতা মূলত হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় খুব বেশি ব্যবহার করা হয়। খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে তোলে। শুধু তাই নয় লেটুস পাতা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায় রক্ষা করে । মানুষ আরও সুস্থ সবল ফিট থাকতে সাহায্য করে। অনেকেরই রোজকার ডায়েটে এক নম্বরে থাকে এই লেটুস শাক । সেই শাক এখন জলপাইগুড়িতে চাষ হওয়ায় বেশ খুশি চাষ হয়ে উঠছে।
সুরজিৎ দে