প্রতিদিন বিকেল হলেই দেখা যাচ্ছে কর্মতীর্থর ওপরে আবাসিক মেয়েদের রেস্তোরায় দুর-দূরান্তের মানুষ বিকেলে খানিক সময় কাটাতে ও খেতে আসেন। শুধুমাত্র জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে নয়, রবীন্দ্র জয়ন্তীতেও রবি ঠাকুরের প্রিয় খাবার তৈরি করেছিল তারা। এবার জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে তারা জামাইদের জন্য স্পেশাল ভোঁজের আয়োজনও করেছে।মূল্য মাত্র ৪৫০ টাকা। জামাইদের জন্য মেনুতে থাকছে রকমারি তৃপ্তি দায়ক কিছু পদ। নিজেদের তৈরি ঘি, কাঁচা লঙ্কা যোগে সাদা ভাত ,কাতলা মাছ ভাজা,এঁচোড় দিয়ে ছোলার ডাল, চিংড়ি মাছের কাঠি কাবাব , পোলাও, মটন, আমের চাটনি ,কেশর রসমালাই ,পান। আবাসিক হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,এই চার মেয়ে খুব ছোট থেকে জলপাইগুড়ির আবাসিক হোমের বাসিন্দা। হোমের নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত হোমে থাকা যায় মেয়েদের । এই চারজনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে করোনা মহামারী চলাকালীন।
advertisement
আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতে পেট ভরে খাওয়ান জামাইকে! বাড়িতে রান্নার ঝামেলা ছাড়াই! জানুন
আরও পড়ুন:
সে সময় এই চারজন ১৮ ঊর্ধ্ব বয়সী মেয়ে কোথায় যাবে সেই ভাবনা চিন্তা করে হোম কর্তৃপক্ষ নিয়ম না ভঙ্গ করে হোমের পার্শ্ববর্তী একটি রুম ভাড়া করে তাদের রাখার ব্যবস্থা করেন। তাদের বাড়িঘর ঠিকানা বলতে কিছুই নেই, সেজন্য জলপাইগুড়ির কর্ম তীর্থর উপর একটি ব্যবস্থা করে দেয় জলপাইগুড়ির প্রশাসন। রেস্তোরাঁ চালানোর পাশাপাশি তারা চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের পড়াশোনাও, কেউ উচ্চ মাধ্যমিক পাস করছে, কেউ আবার কলেজে পড়ছে ।রেস্তোরাঁ থেকে যা অর্থ উপার্জন হয় ,সে দিয়েই চলে তাদের রুটি রুজি ও পড়াশোনা। তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেই হোমেরই মহিলা কল্যাণ সমিতি আধিকারিক দীপুশ্রী রায় । এবছর কিন্তু জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের জন্য আকর্ষণীয় চমক রয়েছে আবাসিক মেয়েদের এই রেস্তোরাঁয়।
সুরজিৎ দে