সেই রকমই এক দুঃখজনক ঘটনার স্বীকার হয় এই পরিবারটিও।কর্মসূত্রে জঙ্গলের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন গৃহকর্তা। আচমকাই জঙ্গল থেকে হাতি বেরিয়ে এসে আক্রমণ করে সেই ব্যক্তিকে । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাড়ির মূল উপার্জনকারী গৃহকর্তার । ছোট দুই ভাই আর মা এই নিয়েই ছোট্ট সংসার। বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাইকে একা ফেলে মা অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় জীবন সংগ্রাম।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলে থেকেও আরও বিপদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আরও এক মামলায় CBI নির্দেশ! মহাবিপদ
বড় ভাই জানান, ছোটবেলায় ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারিনি। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। কিন্তু ভাইকে মানুষের মত মানুষ করব বলে একটা কাজ খুঁজছিলাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারিনি।তবে বাবার মৃত্যুর পর সরকারের পক্ষ থেকেসুযোগ পাবভাবিনি। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া চাকরি পেয়ে আজ খুব খুশি। এবার ভাইকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারব।"
আরও পড়ুন: নবম-দশমে ৬১৮ চাকরি বাতিল হচ্ছেই, মাথাই ঘামাল না ডিভিশন বেঞ্চ!
হাতির আক্রমণে এমন যেসব পরিবারের গৃহকর্তাদের মৃত্যু হয়েছিলো, ভেসে গিয়েছিল পরিবার। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানের পর সেইসব পরিবারের সদস্যদের মিললো সরকারি চাকরি। শুরু হলো প্রশিক্ষণ।২০২৩ সালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ পদ্ধতি সমাপ্ত হয়। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ লাইনের মাঠে হোমগার্ড এর প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়, সুমন মুন্ডা, সুজিতা ওরাও, মনোরঞ্জন রায়ের মতো প্রায় পঞ্চাশ জন হোমগার্ডকে।
-----সুরজিৎ দে