পাশাপাশি, সরকারি ভাবে রক্ত পরীক্ষাও করা হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন যারা,তাদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য, বাগ্রাকোটে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ওদলা বাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেখানেও বেশ কিছু রোগী এই রোগের উপসর্গ নিয়ে এসেছেন। বাগ্রাকোটে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে না আসার প্রধান কারণ হিসেবে সেখানকার জল সংকটকেই দায়ী করা হচ্ছে। সেখানকার টপ লাইন সহ একাধিক এলাকায় জলসংকট ভয়াবহ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সে পালিত হল এভারেস্ট দিবস
দিনে একবার ১ ঘন্টার জন্য সেখানে জল আসে। তা দিয়েই সারাদিনের সব কাজ সারতে হচ্ছে। যার ফলে সেখানকার মানুষ বিভিন্ন পাত্রে জল জমিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। আর সেই জমা জল থেকেই উদ্ভব হচ্ছে এডিস মশার। অনেক জায়গাতে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা লার্ভা পরীক্ষায় নেমেছেন।নতুন করে রবিবার আবার ধূপগুড়ির গাদং-২ ব্লকে একজন ডেঙ্গুতে সংক্রামিত হয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, প্রায় হাজারখানেক রোগী পরিষেবা নিতে আসছেন রোজ। তাদের মধ্যে জ্বর ও পেটখারাপ।নিয়ে আসছেন বহু। কিছু ক্ষেত্রে তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
আবার অনেককে বাড়িতেও রাখা হচ্ছে রোগী ও তাদের আত্মীয়দের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।এদিকে, সচেতনতার লক্ষে কোথাও যাতে জল জমতে না পারে এবং মশারি টাঙিয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। পুরসভারগুলির পক্ষ থেকে জ্বরের বিষয়ে খোজ খবর ও সার্ভের কাজ বহাল থাকছে। আবর্জনা সাফাইয়ের বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বাজার ও অনান্য এলাকাগুলিতে।
Geetashree Mukherjee