আরও পড়ুন: পেশা ও নেশা দুই-এর টানেই ছিপ হাতে আত্রেয়ীর পাড়ে ভিড় বাড়ছে
ডুয়ার্স নিয়ে পরিবেশবিদদের এমন আশঙ্কার কারণ হল, এর অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য। সরাসরি ডুয়ার্সে হয়তো কিছু ঘটছে না। কিন্তু ঠিক পার্বত্য এলাকার পদতলে অবস্থিত হওয়ায় উপরে ঘটা যে কোনও বিপর্যয়ের ভয়াবহ প্রভাব এসে পড়ছে ডুয়ার্স এবং সেখানকার মানুষের উপর। শোনা যাচ্ছে, উত্তর সিকিমের আরও কিছু প্রাকৃতিক হ্রদ অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। সেগুলিরও পাড় ভেঙে যেকোনও সময় জলস্রোত নেমে আসতে পারে ডুয়ার্সের উপর। সেক্ষেত্রে বিপর্যয়ের পরিমাণ বাড়বে বলে আশঙ্কা।
advertisement
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোলের অধ্যাপনা করছেন সুবীর সরকার। সেই সুবাদে জলপাইগুড়ি জেলার ভৌগলিক এবং প্রাকৃতিক বিষয়ের নাড়ি-নক্ষত্র তাঁর জানা। তিনি জানান, শুধু সময়ের অপেক্ষা, প্রকৃতির রুদ্র মূর্তি দেখবে ডুয়ার্স! ইতিমধ্যেই তার ছাপ পড়তে শুরু করলেও সেটি যেন কারোর চোখে পড়েও পড়ছে না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। পরিবেশকর্মী অনির্বাণ মজুমদার বলেন, প্রফেসর সরকারের করা আশঙ্কাগুলো যে সত্যি হতে পারে তার নমুনা ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে ডুয়ার্সজুড়ে। গত বছর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের দিন হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হতে দেখেছে জলপাইগুড়িবাসী। উত্তর সিকিমের ধ্বংসলীলার পর এবার হয়তো ডুয়ার্সের পালা।
এই অবস্থায় ডুয়ার্সকে রক্ষা করতে পরিবেশবিদরা আন্দোলনে নেমেছেন। সরকারি ও বেসরকারি দু’তরফই অবৈজ্ঞানিক এবং অবৈধভাবে ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি সহ মেটেলি পাহাড়, এমনকি তারও উপরে নির্মাণ করছে কংক্রিটের ইমারত। যার ফলে ডুয়ার্সের পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সকলে আজ আতঙ্কিত। পর্বত আরোহী ভাস্কর দাস বলেন, ডুয়ার্সের জলাশয় দখল হয়ে যাচ্ছে। গড়ে উঠছে কংক্রিটের জঙ্গল। এর জন্য দায়ী মানুষ। এই সমস্ত অনাচারের ভয়াবহ প্রভাব পড়বে আমাদের উপর।
সুরজিৎ দে