এই প্রসঙ্গে বলতেই হয়, যেখানে একদিকে রয়েছে অতিরিক্ত জেলা শাসকের সরকারি বাংলো, এছাড়াও সরকারি আবাসন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতির আবাসন; এমন এলাকায় অবস্থিত সরকারি আবাসনে এমন চুরির ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
আরও পড়ুন-পুজোর আগে মন খারাপ পাট চাষীদের! অনাবৃষ্টিই চিন্তার কারণ এই মরশুমে
advertisement
বুধবার রাতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, কারণ যে দুজন পুলিশ কর্মীর ঘরে চুরি হয়েছে তারা কেউ আবাসনে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে।বুধবার রাতে আবাসনের বাকি বাসিন্দারা এমন চুরির ঘটনা জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান। ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারি আবাসনে থাকা সুলগ্না দত্ত জানান, "বেশ কিছুদিন থেকে সাইকেল চুরি হচ্ছিলও, কিন্তু এবার এত বড় ঘটনা ঘটবে ভাবতেই পারছি না, আমরা সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি"।
আরও পড়ুন- চরম ব্যস্ততা কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের! দুই বছর বাদে প্রতিমা পাড়ি দিতে চলেছে বিদেশে
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকা জুড়ে কিছুদিন ধরে যেন দুষ্কৃতী তাণ্ডব লেগেই রয়েছে। কখনও আস্ত গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, কখনও ছিনতাই, আবার কখনও বাড়িতে ঢুকে দরজা জানলা ভেঙে লুটতরাজ, এমনকি ফাঁকা বাড়ি নয়, ঘরভরা লোককে অচৈতন্য করে লুট করার মত ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। আর এবার সেই সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে একেবারে পুলিশের ঘরে ঢুকে তান্ডব চালাল দুষ্কৃতকারীরা। সোনাদানা সহ একাধিক মূল্যবান জিনিস ও প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিস চুরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবাসনের এক বাসিন্দা স্বপ্না সরকার জানান, দুটি ঘরের দরজার তালা ভেঙে এবং উল্টো দিকের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দুষ্কৃতীরা এই কান্ডটি ঘটিয়েছে।
Geetasree Mukherjee






