আরও পড়ুন: বেপরোয়া মারুতি ভ্যানের ধাক্কা সাইকেলে, গুরুতর আহত চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র
একসময় বাংলায় শিল্প বলতে মূলত বোঝাত পাট শিল্পকে। হুগলির নদীর দুই পাড়ে গড়ে ওঠে একের পর এক পাটকল। সেখানে সকাল থেকে চিমনির ধোঁয়া উঠতে দেখা যেত। পাড়ার মুদির দোকানে বড় বড় চটের বস্তায় রেখে বিক্রি হত খাদ্য সামগ্রী। কিন্তু প্লাস্টিকের বস্তা এসে গোটা ছবিটাই বদলে দিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের ৪ নম্বর রেল গুমটি সংলগ্ন এলাকা পরিচিত ছিল পুরোনো চটের বস্তার জন্য। রাস্তার পাশে বসে লম্বা বড় সুচ নিয়ে পুরোনো বস্তার ছেঁড়া-ফাটা অংশ সেলাই করতে দেখা যেত এখানকার বাসিন্দাদের। এটাই ছিল তাঁদের প্রধান জীবিকা। কিন্তু প্লাস্টিকের দাপটে আজ জীবিকা সঙ্কটে ভুগছে মানুষগুলো।
advertisement
সেই সুদিনের কথা বলতে গিয়ে আজ ঝাপসা চোখে স্থানীয় বাসিন্দারা সুরেশ রায় বলেন, এক সময় অনেকে এই কাজ করত। আজ কাজ নেই বললেই চলে। প্লাস্টিকের বস্তা আসার পর থেকেই চটের বস্তার ব্যবহার প্রায় নেই। এখন অনেকেই পেটের টানে এই কাজ ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে।
জলপাইগুড়ি শহরের দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে পুরোনো বস্তা কেনা বেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সঞ্জয় দুবে আক্ষেপ করে জানান, চটের বস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। আজ সব কিছুতেই প্লাস্টিকের বস্তা, ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। চটের বস্তা নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার কেউই তেমনভাবে চিন্তা ভাবনা না করার কারণে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সুরজিৎ দে