আরও পড়ুন: জমিদারের থেকে পাওয়া কালীপুজো ২০০ বছর ধরে করে চলেছে ৯ টি গ্রামের বাসিন্দারা
এই বলি প্রথা রদ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত জানান, প্রাচীন রীতি মেনে প্রতিবছর এই কালী মন্দিরে প্রায় ৫০-৬০ টি পাঁঠা ও পায়রা বলি দেওয়া হত। তবে এই বছর থেকে তা আর হবে না। মূলত সাধারণ মানুষের আপত্তি ও অনিচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ইতিমধ্যে মন্দিরের বাইরে পোস্টার ঝুলিয়ে বলি নিষিদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দির থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে বলির হাড়িকাঠ। এখন থেকে বলির খড়্গ শুধুমাত্র পুজো করা হবে।
advertisement
মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, এমনিতেই আগের মত দক্ষ বলি দেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। অন্যদিকে বলি প্রথা নিয়ে নানা জনের নানা মত। আর তাই এই বছর বলি প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হল। ফলে এখন থেকে বলি দেওয়ার জন্য কেউ মন্দিরে পশু নিয়ে এলে তা মা কালীর কাছে উৎসর্গ করে ছেড়ে দেওয়া হবে। এখানে দীপাবলিতে সকালে চণ্ডীপাঠ এবং সারারাত ব্যাপী পুজো হয়। অন্ন ভোগে দেওয়া হয় বোয়াল মাছ। দূর দূরান্তের পূর্নার্থীরা নিজেদের মনস্কামনা পূরণ করতে প্রতিবছর এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। তাঊদের মধ্যে অনেকেই পশু বলি মানত করে থাকেন। কিন্তু এবার আর যে বলি দেওয়া হবে না তা আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এবার মাটির বদলে কলকাতা থেকে পাথরের কালীমূর্তি নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও মন্দির কমিটি জানিয়েছে।
সুরজিৎ দে