সূত্রের খবর, এই বিরল প্রজাতির সাপ বিহার থেকে নিয়ে এসে রাখা হয়েছিল শাস্ত্রীনগরে। সেখানকার এক সমাজকর্মীর বাড়িতে এই সাপটি লুকিয়ে রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শাস্ত্রীনগর এলাকায় অভিযান চালায় বন দফতর। উদ্ধার করা হয় বিরল প্রজাতির সাপটি। জানা গিয়েছে, সোমবার বন দফতরের বৈকন্ঠপুর রেঞ্জের কাছে খবর আসে ওই এলাকার একটি বাড়িতে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির সাপ লুকিয়ে রাখা আছে। সেই খবর পেয়ে রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে বনকর্মীরা সমাজকর্মী বলে পরিচিত পাসাং লামার বাড়িতে অভিযান চালান। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বিলুপ্ত প্রজাতির সাপটি।
advertisement
আরও পড়ুন: ভাষা দিবসে বারাসত থেকে কৃষ্ণনগর সাইকেল র্যালি
উদ্ধার হওয়া সাপটি লম্বায় ৪ ফুট ৫ ইঞ্চি, ওজন সাড়ে চার কেজি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অরিন্দম সরকার, পাসাং লামা, আনোয়ার মিঞা, জগদীশচন্দ্র রায় এই চারজনকে গ্রেফতার করে বন দফতর। মঙ্গলবার ধৃত চার জনকেই জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ইতিমধ্যেসমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সাপটিকে বিহার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল মোটা টাকায় বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। এর দাম রাখা হয়েছিল এক কোটি টাকা। এই চক্রে আরও বড় কোনও মাথা জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
সুরজিৎ দে