ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন এলাকাবাসী। শুরু হয় পথ অবরোধ। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য,জলপাইগুড়ির জেলাতে বিগত কয়েকদিন ধরে একের পর এক বীভৎস দুর্ঘটনা হয়ে চলেছে। বাস ও ট্যাংকারের সংঘর্ষে কয়েকদিন আগেই জখম হয়েছিলেন প্রায় ১৪ জন। ঝুমুর সেতুতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জলপাইগুড়ির দিক থেকে বাসটি ধূপগুড়ির দিকে আসছিল এবং বিপরীত অভিমুখে ট্যাংকারটি যাচ্ছিল। একটি পিকআপ ভ্যানকে পাশ কাটিয়ে বের হতে গিয়েই মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ভয়ংকর আহত হন আটজন মহিলা, পাঁচজন পুরুষ এবং এক শিশু।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেহাল চলাচলের রাস্তা, তবুও হুঁশ নেই প্রশাসনের!
তার পরবর্তীতে সেই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই রাতে ফের এই কান্ড ঘটতে রীতিমত উদ্বেগে স্থানীয়রা।জানা যায়, এদিন তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে তাকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে, এত বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটার পরও পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও তার দেখা না মেলায় বিরক্ত এলাকাবাসী। এলাকাবাসীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা পথ অবরোধ করে রাখে। পরবর্তীতে তারা পুলিশের গাড়ি আটক করে।
আরও পড়ুনঃ ডাকাতির আগেই ছক বানচাল! পুলিশের জালে তিন দুষ্কৃতী
ঘটনাস্থলে আসে দমকল বাহিনী। বিক্ষোভের সামনে পড়তে হয় তাদেরকেও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির এই চত্বরে রাস্তায় কোনো স্পিড ব্রেকারনেই, যার জেরে গাড়ি দ্রুত গতিতে চলাচল করে, আজ সেই জন্যই এই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে। এমনকি পুলিশ প্রশাসনও দেরিতে এসেছেন। এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থাও এখানে সঠিকভাবে কাজ করছে না। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আশেপাশে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘাতক গাড়িটিকে সনাক্ত করে দোষী ব্যক্তির শাস্তি দাবি তুলেছেন।
Geetashree Mukherjee