সেরকমই এক পরীক্ষা দিতে হয়েছে পোলিনা শুলগাকে৷ ২৭ বছর বয়সি এই তরুণী কিয়েভে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রশাসক৷ তিন বছরের মেয়ে আরিয়াকে নিয়ে তিনি চলে গিয়েছেন হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে৷ শিশুকন্যাকে বলতে পারেননি সত্যি ঘটনা৷ বলেছেন, তাঁরা ছুটি কাটাতে নতুন জায়গায় যাচ্ছেন৷ যুদ্ধ শেষ হলেই আবার ফিরবেন পুরনো ঠিকানায়৷
আরও পড়ুন : যুদ্ধক্ষেত্রে মাকে ফেলে শরণার্থী হয়ে দিদির সঙ্গে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে...
advertisement
পূর্ব ইউরোপের ডনেৎস্ক শহরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নাতালিয়া গ্রিগরিইয়োভনা লেভচিঙ্কার মনে হচ্ছে তিনি যেন একটা দীর্ঘ দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন৷ আর এক ইউক্রেনবাসী ইয়েলেনা মাকারোভাও এখন শরণার্থী৷ তাঁর বাবা, স্বামী এবং ভাই রয়ে গিয়েছেন স্বদেশে৷ মা ও কিশোরী কন্যাকে নিয়ে ইয়েলেনা পাড়ি দিয়েছেন নিরাপত্তার খোঁজে৷ বলেছেন, ‘‘আমি চাই যে যুদ্ধ যত দ্রুত সম্ভব শেষ হোক৷ কারণ এর থেকে খারাপ এক জন মায়ের কাছে আর কিছুই হতে পারে না৷’’ যুদ্ধে শিশুমৃত্যু তাঁকে সবথেকে বেশি পীড়িত করছে৷
আরও পড়ুন : বোমাবৃষ্টির মধ্যে ইউক্রেনীয় তরুণী বেহালায় জ্যোৎস্না রাত্রির সুর তুলছেন, নেটিজেনদের চোখে জল
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও অবধি ২ মিলিয়নের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে চলে গিয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১ মিলিয়ন৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এত তীব্র শরণার্থী-সঙ্কট আর দেখা যায়নি৷