সুস্বাদু গরম ফিস চপ আর সঙ্গে সস। যার অন্য কোনও জুড়ি নেই। সেই স্বাদ পেতেই ক্রেতারা ছুটে আসেন দূর দূরান্ত থেকে। দুপুরে রোদ একটু নামলেই কড়াইতে ছাড়তে শুরু হয় কবিরাজির মতো এই মাছের চপ। কড়াই থেকে তুলতে না তুলতে হাজির হয় ক্রেতা। ছুটির দিনে দম ফেলার সময় পর্যন্ত মেলে না। গ্রামীন এলাকায় রাজ্য সড়ক লাগোয়া এই দোকান চোখে পড়বে ফটিকগাছি থেকে মুন্সিরহাট যেতে। এই ব্যস্ততম দোকান সামাল দিচ্ছেন বাবা মা ও ছেলে। ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা মুখের কথার আপ্যায়নে, যেন আরও বেশি করে খরিদ্দার আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সাপ কেন খোলস ছাড়ে? সাপ কীভাবে যৌনক্রিয়া করে? একটা সাপ কত বছর বাঁচে? উত্তর জানলে চমকে যাবেন!
আরও পড়ুন:
বিক্রেতা সুপ্রিয় জানায়, গত প্রায় ১৪-১৫ বছর আগে চপ সিঙাড়া সহ নানা রকম তেলে ভাজার সঙ্গে ফিস চপ দোকানে ভাজা শুরু হয়েছিল। তখন ৫০ – ১০০ পিস বিক্রি হত প্রতিদিন। এই কয়েক বছরে সব তেলে ভাজার চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন। বর্তমানে ৪০০ – ৫০০ পিস বিক্রি হয় সপ্তাহের কাজের দিনে। ছুটির দিনে বেড়ে ৬০০ – ৭০০ পিস এবং কয়েকশত চপ সিঙাড়া সহ নানা তেলে ভাজা। জানা যায়, শুরুতে সাড়ে তিন টাকা দামে বিক্রি হত। বাড়তে বাড়তে দশ টাকা এসে পৌঁছেছে। গত প্রায় পাঁচ বছর একই দাম ১০ টাকা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন ক্রেতা। ৮-৮০ সকলের পছন্দের এই ফিস কবিরাজির মতো তৈরি ফিস চপ। ক্রেতা করুণা মণ্ডল জানান, ইচ্ছে হলেই ফিস চপ খেতে চলে আসা। পাঁচ বছরের মেয়ে তারও খুব পছন্দের। একটু দূর হলেও সুযোগ পেলেই চলে আসি খাঁদার ঘাটে সুপ্রিয়র চপের দোকানে।
RAKESH MAITY