কিন্তু এ কালের শৈশব যেন কুক্ষিগত জীবন। এমনটাই মনে করছেন হাওড়া পাঁচপাড়া নিমতলা যুবক সংঘের সদস্যরা। সেই ভাবনাতেই পুজো মণ্ডপ সেজে উঠেছে। নিমতলা বাঘাযতীন সংঘের এবারের ভাবনা ' ফিরিয়ে দাও সেই ছেলেবেলা' যে ছেলেবেলায় পিঠে বইয়ের বোঝা ছিল তবে সে বোঝা কখনো বোঝা মনে হয়নি শৈশবে, আবার সেই শৈশবের হাতে হাতে ব্যাট বল লাট্টু ঘুরড়ি পুতুল নানা খেলার সাথী ছিল, যে সাথীদের নিয়ে আনন্দে শৈশব পার করেছে আজকের যুবক বা আজকের যারা প্রবীণ! ফিরে যেতে চায় সেই ছেলেবেলায়।
advertisement
পুজো উদ্যোক্তাদের কথায় সে সময়ের খেলার ছলেই ছিল কর্মশিক্ষা নিজেদের হাতেই গড়ে উঠতো খেলার উপকরণ, এক টুকরো কাগজ থেকেই খেলার ছলে কত কি রূপ দেওয়া যেত। সেকাল আর একালের শৈশবে রয়েছে অগাধ ব্যবধান, একালে শৈশব রয়েছে ছেলেবেলা রয়েছে, তবে সব খেলার সাথী ছেড়ে লুফে নিয়েছে স্মার্টফোন। যে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে করতে সেই স্মার্টফোন শৈশব থেকে যৌবন সব গিলে ফেলেছে, মগজ সুষে নিয়েছে স্মার্টফোন।
আরও পড়ুনঃ দীপাবলিতে খুশির জোয়ার! ভাঙা বাঁশের সাঁকো নতুন করে ফিরে পেল আমতার মানুষ
বাঘা যতীন সংঘের মন্ডপের প্রবেশদ্বারের উপর রয়েছে একটি বিশাল মগজ যে মগজকে একটি স্মার্ট ফোন গিলে ফেলেছে, স্মার্টফোনের শিকড় বাকর মগজ কে আকড়ে ধরছে। তাদের ভাবনায় যেভাবে স্মাটফোনে মন মজে পারিপার্শ্বিক এই পরিবেশ এ জগত থেকে যোগাযোগ থেকেও যেন বিচ্ছিন্ন বর্তমান প্রজন্ম। একালের সোশ্যাল মাধ্যমে হাজারো বন্ধু তবে পাশে থাকার বা পাশে পাবার বন্ধুত্বের বড়ই অভাব।
আরও পড়ুনঃ কালীপুজো মানেই পাঁচলা জয়নগর মিলন সংঘের মন মাতানো থিম!
এই মন্ডপ সাজ দর্শকদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের মনকে স্পর্শ করেছে, প্রশংসিত হয়েছে পুজো উদ্যোক্তা এবং স্থানীয় শিল্পী শুভঙ্কর খামারু যিনি নিজের হাতে মন্ডপ সাজা থেকে মডেল ও প্রতিমা গড়ে দর্শকদের কাছে অভিনব সামাজিক চিন্তাভাবনা তুলে ধরেছেন। পুজোর দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে দর্শক মন্ডোমুখি হয়েছে তবে দ্বিতীয়দিনে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত, এ ধরনের দৃষ্টান্তমূলক মণ্ডপ থিম আগে কখনো সেভাবে সেজে ওঠেনি এলাকায় জানাচ্ছেন স্থানীয়রা, মন্ডপ দেখতে হাজার হাজার দর্শক বাঘাযতীন সংঘে হাজির।
Rakesh Maity