ইত্তেসমার বাকশক্তি ও শ্রবণগত সমস্যা রয়েছে। জাহিরার জীবন জুড়েও লড়াই। দরিদ্র পরিবারে জন্ম। জাহিরার বাবা, তাঁর মা-কে ছেড়ে চলে যায়। মা পরিচারিকার কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালান। এই পরিস্থিতিতে ইত্তেসমা ও জাহিরা দু'ই কন্যারই লড়াইয়ের সঙ্গী হয় উলুবেড়িয়ার আশা ভবন সেন্টার। বর্তমানে দু'জনেই উলুবেড়িয়ার কাঠিলার আশা ভবন সেন্টারের আবাসিক।
আরও পড়ুন- মানবিকতার নজির হাওড়ায়! দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
advertisement
আশা ভবন সেন্টারের উদ্যোগেই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা চালিয়ে যাচ্ছে দু'ই লড়াকু কন্যা। পড়াশোনার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির উদ্যোগে নিয়মিত চার ঘণ্টার কঠোর অনুশীলন চালিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করছে জাহিরারা। সে-ই কঠোর অনুশীলন, প্রতিভা ও সর্বোপরি অদম্য ইচ্ছেশক্তিকে সাথে নিয়ে এবার আমেরিকার উদ্দেশ্যে উড়ে যাবে দু'ই কন্যা।
আরও পড়ুন- সাধু উদ্যোগ! নিজের লেখা বই বিক্রির টাকা, চিকিৎসক তুলে দিলেন এক পাঠশালার উন্নয়নে!
আশা ভবন সেন্টারের ডিরেক্টর জন মেরি বাড়ুই জানান, "আগামী ২৮ শে জুলাই থেকে ৭ ই অগাস্ট অবধি মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে এই টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানেই আমাদের প্রতিষ্ঠানের দু'ই ছাত্রী অংশ নেবে।"
তাঁর কথায়, "এই আনন্দ ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। এভাবেই সমস্ত প্রতিকূলতার বেড়াজালকে ভেঙে ওরা সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যাক"। আর আবেগঘন, অশ্রুসজল চোখে ইত্তেসমা, জাহিরারা জানায়, "সকলে না থাকলে আমরা এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না"।
Rakesh Maity