রাকেশ বাবু জানান, "ছোট থেকেই মায়ের মুখে শুনতাম একটা আস্ত লাইব্রেরি গড়ার স্বপ্ন। যেখানে এলাকার ছোট থেকে বড় সমস্ত ছেলে মেয়েরা এসে তাদের চাহিদা মতো বই নিয়ে পড়াশোনা করবে। তারা বড় হয়ে উঠবে নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হবে, আলোক উজ্জ্বল পরিবেশ তৈরি হবে।" বরাবরই রাকেশ চন্দ্রের লক্ষ্য ছিল মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার। জানা যায়, তার বাড়িতে প্রচুর বই সংগ্রহ করেছিলেন বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই।
advertisement
আরও পড়ুন- আবর্জনার স্তূপ! পুকুরের জল ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ
রাকেশবাবু বলেন, "হঠাৎই গতবছর মা প্রয়াত হন। ঠিক তার পর থেকেই বাবা আর আমি লাইব্রেরি গড়ার প্রস্তুতি শুরু করি।" বাড়ি থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথ। রাস্তার উপর ১ কুঠুরি ঘর নিয়ে মায়ের স্বপ্নের লাইব্রেরি গড়া। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ জন পাঠক সংখ্যা।
আরও পড়ুন- দুয়ারে সরকার শিবিরে আসতে পারেননি! যোগাযোগ করুন স্থানীয় প্রশাসনিক দফতরে
রাকেশ বাবু জানান, মায়ের স্বপ্নের লাইব্রেরি, মায়ের নাম অনুসারে 'সঞ্চিতা চন্দ্র স্মৃতি পাঠাগার' লাইব্রেরিতে বিশেষ করে কম্পারেটিভ, জ্ঞান বিজ্ঞান, জানা-অজানা, গল্প উপন্যাস ও টেক্সট বই সহ বহু বই আছে। বর্তমানে প্রায় দুই হাজারের অধিক বই রয়েছে, প্রায় ৫০৯ টি ম্যাগাজিনও।
তিনি আরও জানান, বাবা ও তিনি কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে মায়ের স্বপ্নের লাইব্রেরি বানিয়েছেন। লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহু বিশিষ্টজন তাদের সংগ্রহের বই ও নিজেদের লেখা বই দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এলাকার বহু মানুষও বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাকেশবাবুকে।
Rakesh Maity