হাওড়ার মঙ্গলা হাটের জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি যে বিভিন্ন জেলায় পৃথক পোশাকের বাজার গড়ে উঠলেও এর জনপ্রিয়তায় এতোটুকু ভাঁটা পড়েনি। বরং দিন দিন বেচা-কেনার পরিমাণ বাড়ছে। এখানে পাইকারির পাশাপাশি খুচরো বেচাকেনাও হয়। ফলে মঙ্গলা হাটে শুধু যে পোশাক ব্যবসায়ীরা আসেন তা নয়। বহু সাধারণ মানুষও এখানে প্রয়োজনীয় শাড়ি, জামা, প্যান্ট কেনার জন্য আসেন। নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়ার বিখ্যাত শাড়ি উৎপাদকরা এই মঙ্গলা হাটে পাইকারি দরে তাদের তৈরি অসামান্য সব শাড়ি বিক্রি করতে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বালুরঘাটের পাড়ায় পাড়ায় মরণ ফাঁদ! আতঙ্কে শহরবাসী
মঙ্গলাহাট এক অবাক জায়গা। এখানে পাতি ছাপা শাড়ি, থান কাপড় থেকে শুরু করে বেনারসি, স্বর্ণকাতান, টাঙ্গাইল, কাঞ্জিভরম সবকিছু পাওয়া যায়। সোমবার ভোরে হাটে দোকান দেওয়া বা শাড়ি কেনার জন্য রবিবার রাতেই বহু দোকানদার ও ক্রেতা হাওড়ায় চলে আসেন। মূলত ভোরের দিকে পাইকারি কেনাবেচা হয়। বেলা বাড়লে, বিশেষত মঙ্গলবার সারাদিন খুচরো খরিদ্দার এসে মঙ্গলা হাট থেকে প্রয়োজনীয় পোশাক কেনেন। দীর্ঘদিন ধরে এই হাটে আসা ক্রেতা সবিত জানা জানালেন, গত ১০-১২ বছর ধরে তিনি এখানে আসছেন। দোকানে শাড়ি কিনতে গিয়ে সেখানে খুলে দেখে পছন্দ না হলে সমস্যা। কিন্তু মঙ্গলা হাটে প্রচুর শাড়ি সামনেই ঝোলানো থাকে। তাতে পছন্দ হলে নেওয়া হয়। হাটের বিক্রেতা অরুণ মুখার্জী জানান, এখানে বহু স্টল আছে। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিখ্যাত ব্যবসায়ীরা শাড়ি তৈরি করে এই হাটে নিয়ে আসেন। এখানে গরিব থেকে পয়সাওয়ালা সমস্ত ধরনের ক্রেতা আসে বলে জানান তিনি। মূলত সড়ক ও সুগম রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা মঙ্গলা হাটের জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
রাকেশ মাইতি