সেই সময় শহরে দুই রকম ট্যাক্সি চলত। হলুদ ট্যাক্সি ছিল শহরের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাবার জন্য। আর কালো ট্যাক্সি ছিল এক শহর থেকে অন্য শহর বা শহরের বাইরে যেতে। একটা সময় আসে কলকাতার বুক থেকে কালো ট্যাক্সি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এখন কলকাতা মানেই অনেকের কাছে হলুদ ট্যাক্সি। কলকাতার এই ঐতিহ্যবাহী ট্যাক্সি হয়তো দেখা যাবে না ২০২৯ সালের পর।
advertisement
আরও পড়ুন- রঘুনাথগঞ্জে তড়িতাহত হয়ে মর্মান্তিক পরিনতি যুবকের
হুগলির উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্তান মোটর কারখানা অবস্থিত। সেখানেই এই সমস্ত ট্যাক্সি তৈরী হত। তবে ২০১৪ সালে প্রোডাকশন বন্ধ করে দেয় এই কোম্পানি। এদিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ বছরের বেশি পুরানো যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ। সেই দিক থেকে ২০১৪ সালে যে সমস্ত গাড়ি তৈরী হয়েছিল সেগুলি শেষ দেখা যেতে পারে ২০২৯ সাল পর্যন্ত। তারপর হয়তো কলকাতা ও হাওড়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে হলুদ ট্যাক্সি।
আরও পড়ুন- খনি ভরাট হচ্ছে দূষিত ছাই দিয়ে! কাণ্ড দেখে বেজায় বিরক্ত এলাকাবাসি
যাত্রীদের কাছে দীর্ঘদিনের পরিচিত হলুদ ট্যাক্সি একটি আবেগ। সেই ট্যাক্সি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়াটা একেবারেই খুব সাধারণ ব্যাপার নয়। সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের মনে গেঁথে রয়েছে এই হলুদ ট্যাক্সি। সমস্ত যাত্রীও শহরের ঐতিহ্য হলুদ ট্যাক্সির প্রতি আবেগপ্রবণ। এ বিষয়ে অনেক চালকও খোলা মনে কথা বললেন। তারাও দশকের পর দশক এই এম্বাসাডারের স্টিয়ারিং আকড়ে বেঁচে আছেন। এমন সময়ের মুখোমুখি হতে হবে ভেবে তাদেরও মন খারাপ। অনেকে তো এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। আবার অনেকেই মনে করছেন হয়ত কোন এক কারণে, কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি আজীবন রয়ে যাবে এ কলকাতাতেই।
রাকেশ মাইতি