আরও পড়ুন: দক্ষিণ দিনাজপুরকে মাদক ও নেশামুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ
এই ঘটনা যেন রোজকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় মানুষের কথায় জানা যায়, সমস্যার সূত্রপাত কয়েক বছর আগে। সেই থেকে বছরে কয়েক মাস অন্তর পচা কালো জল উত্তর দিক থেকে বয়ে আসে। সেই জলই অভিশাপ হয়ে দেখা দেয় নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষের জীবনে। শুধু বসবাসকারী বা গৃহস্থ মানুষ নয়, এই নদীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বিশাল এলাকাজুড়ে কৃষি জমি। সমস্যা কৃষক ও গবাদি পশুরাও। দিন দিন ভয়ানক রূপ নিচ্ছে এই নদী। দামোদর নদের শাখা নদী কৌশিকী বা কানা দামোদরের উৎপত্তি বর্ধমান জেলার জামালপুরের কাছে সেলিমাবাদে।
advertisement
বর্ধমান থেকে হুগলি হয়ে হাওড়া সিজবেড়িয়ায় এসে ভাগীরথী হুগলি নদীতে মিশেছে। সেলিমাবাদ থেকে বর্ধমানে ১৫ কিলোমিটার হুগলিতে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার হয়ে হাওড়ায় ২৯ কিলোমিটার বয়েছে কৌশিকী বা কানা দামদর। এক সময় এই নদীপথে বড় বড় নৌকা, বাণিজ্যিক জাহাজ চললেও বর্তমানে নদীর বেহাল দশা। নদীর হাল ফেরাতে সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা একাধিকবার প্রশাসনে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের প্রবীণ নাগরিক নারানচন্দ্র ঘোষাল নদী বাঁচাতে ‘সবুজ মঞ্চ’-কে চিঠি লেখে। গ্রামের পরিবেশ কর্মী সৌরভ দত্তের পরামর্শে। কয়েক হাজার মানুষের অসহায়তা, তাদের সমস্যার কথা শুনতে এবং নদী সরজমিনে দেখতে ‘সবুজ মঞ্চের’ সদস্য দেবাশিস রায় আসেন। হাজির ছিলেন হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্য শুভজিৎ মাইতি, সৌরভ দত্ত সহ গ্রামের অসংখ্য মানুষ। গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন সমস্যার কথা শোনার পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য নদীর জল সংগ্রহ করেন।
সবুজ মঞ্চের সদস্যের উপস্থিতিতেই যেন মাজু সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মানুষ আশার আলো দেখছে।আবার হয়ত অভিশপ্ত এই নদী। সেই পুরনো দিনের মতোই, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনের আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। সেই আশাতেই মুখ চেয়ে লাখো মানুষ।
রাকেশ মাইতি