প্রায় দেড় মাস ওই এলাকাতেই ঘোরাফেরা করছে হনুমানের দল। ওই দলে ১৫ থেকে ২০টি হনুমান রয়েছে তার মধ্যেই একটি হনুমান দলছুট হয়ে কামড়ে দিচ্ছে মানুষকে। এলাকায় মাঠে, পার্কে শিশুদের সেভাবে দেখা নেই, গৃহবন্দী সকলে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নয় হনুমানের হাত থেকে বাঁচতে। ঘরের ভিতরে খোলা জানালার থেকে বাইরের দিকে তাকিয়ে মনমরা এলাকার শিশুরা। ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজ যাওয়ার পথেও আতঙ্ক।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৩০০ বছর প্রাচীন রথ, জগন্নাথদেব নন, অন্য দেবতা চড়েন রথে!
এলাকার আইসিডিএস স্কুলে দিদিমণি পঠন-পাঠনের জন্য স্কুল খুলে রাখলেও অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না হনুমানের ভয়ে। এলাকার ছাদে ওঠাই মহিলাদের প্রায় বন্ধ, নতিবপুর গ্রামে এক মহিলা ছাদে কাপড় শুকুতে গিয়ে আক্রান্ত, পিছন থেকে এসে পায়ে কামড়। এলাকার আরতি কোলে মাঠে যাচ্ছিলেন কিছু বোঝার আগেই পিছন থেকে এসে কামড়, ক্ষত এতটাই বেশি হয়েছিল পায়ের মাংস কেটে বাদ দিতে হল। প্রায় দশদিন হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক বৃদ্ধ তার নাতিকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই কামড় খেলেন।
আরও পড়ুনঃ শহরের অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব ভাবনা 'ওল্ড এজ কেয়ার'- এর
পাশাপাশি দুটি গ্রামের সারাদিন পথঘাট মাঠ খা খা করছে। কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে দুদিন আগে পঞ্চায়েত এর মাধ্যমে বনদফতর এ খবর দেওয়া হয়েছে জানালেন কেশবপুর খাঁড়াপাড়ার বাসিন্দা সুধীন মান্না। শুক্রবার বনদফতর আসার কথা ছিল তবে কোনো কারণে আসেনি। হনুমানের আতঙ্কে বাড়ির বাইরে পা রাখতেই ভয় পাচ্ছেন এলাকার মানুষ, ছোট থেকে বড় ৮ থেকে ৮০ সকলেই আতঙ্কিত। রীতিমতো গৃহবন্দী এলাকার মানুষজন।
Rakesh Maity