নির্বাচনের পর পঞ্চায়েত কার দখলে থাকবে তার জন্য ফলাফলের অপেক্ষা। তবে রায় বের হওয়ার পরেও টানা প্রায় এক-দু’মাস বোর্ড গঠনের অপেক্ষা। মাঝের এই সময়টুকু জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে পানীয় জলের মতো জরুরি পরিষেবা বহাল থাকলেও,পঞ্চায়েত এলাকার সাধারণ বহু সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে মানুষ। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন অনুমোদন সহ এমন কিছু কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বোর্ড গঠন পর্যন্ত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিতর্কিত পঞ্চায়েতেও সবুজ-ঝড়! বগটুই, আনিস-মৃত্য়ু ছাপ ফেলল না ভোটে
এই বিষয়ে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যদের কথায় জানা যায়, এ সময় পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়।সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছেন পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে। তবে গণনা কেন্দ্রে অশান্তির জেরে বেশ কিছু জায়গায় আবার পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। তেমনি হাওড়ার সাঁকরাইল বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫ টি বুথে নতুন করে ভোটের নির্দেশিকা। যদিও ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ এখনও জানান হয়নি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। পঞ্চায়েতের দখল যে রাজনৈতিক দলের হোক না কেন সাধারণমানুষ চায় সুষ্ঠু পরিষেবা।
আরও পড়ুনঃ ছড়ানো ব্যালট পেপার সোজা হাইকোর্টের টেবিলে! তাজ্জব বিচারপতি, তলব বিডিও
মানুষ তাঁদের সুনির্দিষ্ট অধিকার পেতে চায়। রাজ্যে সবুজ ঝড় অব্যাহত। তবে দেখার বিষয় যে সমস্ত বুথে পুনরায় নির্বাচন হচ্ছে, কতটা বিরোধীরা ছাপ ফেলতে পারে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে। কাদের দখলে পঞ্চায়েত তাও স্পষ্ট। সেই দিক থেকে পরিষেবা পেতে পঞ্চায়েতে এলাকার মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন। সাধারণ মানুষ যেমন জানালেন তাঁদের সমস্যার কথা। এই প্রসঙ্গে গণদেব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য এবং গ্রাম সংসদের জয়ী আশীষ খাঁড়া জানান, ‘ভোট পরবর্তীতে নির্দিষ্ট কিছুদিন মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। যদিও জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে কিছু কাজ হয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ পঞ্চায়েতের কাজ আটকে থাকে বোর্ড গঠন পর্যন্ত।’
রাকেশ মাইতি