সংসারে তাঁদের পরিচয় এক হলেও ভোটের ময়দানে আলাদা আলাদা ভাবে প্রচার সারছিলেন। তিনজনের মধ্যেই অগাধ আত্মবিশ্বাস ছিল জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাসকে যেন তুড়ি মেরে বুথে জয়লাভ করলেন নির্দল প্রার্থী। ‘আম’ চিহ্নে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী লতা যাদব। বোস বাড়ির তিন বৌমার বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইকে উপেক্ষা করে আমের স্বাদেই মজলেন আমজনতা। হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের থানা মাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পোদ্রা সরকার পাড়ায় এই ঘটনা।
advertisement
স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই প্রায় নিশ্চিত হয়েছিল বোস পরিবারের একজন বৌমা জয়ী হবেন। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা গেল সেই ভবিষ্যৎবাণী ভুল। ‘ বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’-কে পাত্তা না দিয়ে ওই বুথের আমজনতা বেছে নিল আম চিহ্ন। যদিও নিজেদের রাজনৈতিক দলের মতো রাজনৈতিক বিদ্বেষ, হিংসা ছিল না বোস পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। তিন প্রার্থীরই এক বক্তব্য ছিল, এলাকার সাধারণ মানুষ যাঁকে নির্বাচিত করবেন, তিনিই জয়ী হবেন। তিনজনের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এলাকার উন্নয়ন। ওই বুথের চার প্রার্থীর কেউই সক্রিয় রাজনীতিতে কোনওদিন সক্রিয় ছিলেন না।
বরং বলা যেতে পারে, পঞ্চায়েত ভোটেই তাঁদের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হল। ওই বুথে জয়ী প্রার্থী লতা যাদব বলেন, ‘ রাজনীতি করার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। মূলত স্বামীর উৎসাহে ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। জিতব কি হারব, ভাবিনি। সকলে সহযোগিতা করেছে। ভোটে জিতে খুব ভাল লাগছে। ‘ যদিও নিজের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ওই বুথের পরাজিত বিজেপির প্রার্থী পিঙ্কি বোস। তিনি বলেন, ‘‘ প্রথমবার হলেও ভোটের অভিজ্ঞতা ভালই।’’
তিনি চান শিক্ষিত ব্যক্তিরা আরও রাজনীতিতে এগিয়ে আসুক। রাজ্য তথা দেশের হাল ফেরাতে এটাই তাঁর দাবি। তিনি আরও বলেন, ‘‘ প্রচারেও ভাল সাড়া পেয়েছি। তবু ভোটের ফলাফলে জনতা আম বেছে নিল। হয়তো একই পরিবারের তিন সদস্য হওয়ার কারণেই এই পরাজয়। যদিও সঠিক কারণটা মানুষই বলতে পারবেন।’’