এই জাঁকজমক লক্ষ্মীপুজো হাওড়ার জেলায় শুধু খালনা গ্রামের পাশাপাশি বাগনানের জোকা গ্রামেও থিম পুজো। কৃষি প্রধান এলাকা, অধিকাংশ মানুষ বা পরিবার কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে আর নতুন প্রজন্ম কৃষিকাজের দিকে আগ্রহী নয়। জানা যায়, খালনা গ্রাম একসময় প্রতিবছর বন্যার জলে ডুবে যেত, তাই দুর্গাপুজোর আয়োজন হতো না, লক্ষ্মী পুজোর সময় বন্যার জল নেমে গ্রাম জেগে উঠতো। কৃষি প্রধান এলাকা গ্রামের মানুষ সেই থেকেই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠেন।
advertisement
বারাসাতের কালীপুজো, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মতোই হাওড়ার লক্ষ্মীপুজো। গ্রামে কোথাও মন্ডপ সেজে উঠেছে মন্দিরের আদলে কোথাও বা গ্রাম বাংলার ছোঁয়া কোথাও রূপকথার গল্পের মণ্ডপ আবার দেখা গিয়েছে, করোনা সময়ের হাসপাতালে চিত্র, পাহাড়। দুই বছর করোনা আবহে আমরা যে সমস্ত সংগীত জগতের নক্ষত্রকে হারিয়েছি তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে সেজে উঠেছে মন্ডপ। যা দর্শকদের মন কেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ নৌকায় চড়ে মশাল জ্বালিয়ে নদীতে দুর্গার বিসর্জন! এক অন্য উন্মাদনা হাওড়ায়
দু বছর করোনা আবহাওয়া পেরিয়ে এ বছর মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মত। গ্রামীন হাওড়ার আমতা- ২ ব্লকের খালনা গ্রাম এই গ্রামে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শটির বেশি লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকটা শতাব্দী প্রাচীন পুজো। এদিকে খালনার পাশাপাশি লক্ষী পুজোয় হাওড়াবাসীর কাছে অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে বাগনানের জোকা গ্রাম। এই গ্রামেও ছোট-বড় সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি থেকে ২২-২৩ টি পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ কৃষিই অগ্রগতির ভিত্তি! 'লক্ষ্মীগ্রামে' এই থিমেই সাজছে লক্ষ্মী পুজোর মণ্ডপ
তুলসীবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কামিনা গ্রাম এই গ্রাম ছোট বড় প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি এর পাশাপাশি জগৎবল্লভপুরের মাজু ও লস্করপুর গ্রাম , পাঁচলার গঙ্গাধরপুর গ্রামের মানুষ লক্ষ্মী পুজায় মেতে ওঠে। তবে খালনা গ্রামের লক্ষী পুজো এক অন্য মাত্রা, পুজো উপলক্ষে দু'দিন ব্যাপী বসে মেলা পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন পুজো মন্ডপে বিকেল ঘনিয়ে সন্ধা নামলে জমে ওঠে দর্শনার্থীদের ভিড়। যানজটস নিয়ন্ত্রণ করতে পুজো চত্বর জয়পুর থানার পক্ষ থেকে করা হয়েছে নো এন্ট্রি জোন। ভিড় সামল দিতে ও কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোটা-খালনা চত্বরজুড়ে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের পক্ষ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
Rakesh Maity