আগেই শোনা যাচ্ছিল বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাবেচার পাশাপাশি এখানে নিষিদ্ধ টিয়াপাখিও বিক্রি হয়। শনিবার প্রায় ভোর থেকে হাট শুরু হয়। সেই মত আগের দিন অর্থাৎ প্রতি শুক্রবার বহু ব্যবসায়ী জিনিসপত্র নিয়ে চলে আসেন। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে বন বিভাগ ও হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্যরা হাটে পৌঁছন। পরিবেশপ্রেমী চিত্রক প্রামাণিক, সৌমিক দাস ও শুভ মান্না গোপনে অভিযান চালান। তাঁরা উলুবেড়িয়া বানীবন হাটতলায় ফরিদ পুরকাইতের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন ১৫ টি পাহাড়ি চন্দনা বা অ্যালেক্সান্দ্রিন প্যারাকিট।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্য বাজেটে পাট্টা দেওয়ার ঘোষণায় খুশি চা শ্রমিকরা, কিন্তু কীভাবে উঠছে প্রশ্ন
যার বাড়ি থেকে এই নিষিদ্ধ পাখিগুলো উদ্ধার হয়েছে সেই ফরিদ পুরকাইত বিদেশি পাখি বিক্রির আড়ালে এই নিষিদ্ধ দেশীয় পাহাড়ি চন্দনা, টিয়া বিক্রি করত বলে জানা গিয়েছে। বন বিভাগ পাখিগুলি গড়চুমুক চিড়িয়াখানায় নিয়ে গেছে। পুলিশ ফরিদ পুরকাইতকে গ্রেফতার করেছে। কয়েকদিন আগে বাগনান থেকেও ২৩ টি পাহাড়ি চন্দনা পাখির ছানা উদ্ধার হয়েছিল। এই অ্যালেক্সান্দ্রিন প্যারাকিট ভারতীয় বন্যপ্রাণ আইনে ধরা বা বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
রাকেশ মাইতি