আরও পড়ুন: ৫০ বছর ধরে দড়ি বাঁধা নৌকায় ঝুঁকির পারাপার
হাওড়ার ঝোড়হাট পঞ্চায়েত গত পাঁচ বছরে যা কাজ করেছে তা আশার থেকেও বেশি! এমনই দাবি গ্রামবাসীদের কয়েকজনের। বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা সোমা দাস বলেন, গত পাঁচ বছরে পঞ্চায়েতের কাজে আমরা দারুণ খুশি। যেভাবে উন্নয়ন চলছে সেভাবেই চলুক। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত শিশুরা কোথায় খেলবে তার ঠিক ছিল না। কিন্তু এখন সুরক্ষিত জায়গায় খেলতে পারছে তারা। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে চারিদিক ঘেরা সুরক্ষিত শিশু উদ্যান গড়ে উঠেছে। পানীয় জলের পরিষেবাতেও সন্তুষ্ট এলাকার মানুষ। বিশ্বনাথ হাজরা বলেন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিন বসানো হয়েছে। এখন এই জল বেশিরভাগ মানুষ পানীয় হিসেবে ব্যবহার করে। প্রতিদিন লাইন দিয়ে এসে নিয়ে যায় জল।
advertisement
আবার মৎসজীবী পঞ্চানন মণ্ডল পঞ্চায়েতের কাজে মোটেও খুশি নন। তিনি বলেন, আমাদের মত মাছ শিকারিদের সুরক্ষার জন্য সরকারি কার্ডের ব্যবস্থার জন্য পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। গুরুত্ব দেয়নি কেউ। ১০০ দিনের কাজ করে টাকা না পেয়ে অচল অবস্থা সংসারের। পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা মীরা মণ্ডল।
বাসিন্দাদের প্রশংসা ও সমালোচনা মাথায় নিয়ে ঝোড়হাটের উপপ্রধান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আমরা ক্ষমতায় আছি। তার আগে পঞ্চায়েতের জল, রাস্তাঘাট এবং আলোর সমস্যা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে। মানুষকে সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে গত পাঁচ বছরে। তাঁর আশা পরিষেবা পেয়ে গ্রামবাসীরা সন্তুষ্ট। তবে পঞ্চায়েত এলকায় নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা রয়েছে বলে তিনি মেনে নেন। জানান আগামী দিনে এই সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে
রাকেশ মাইতি