উত্তর দিনাজপুর: মৃত্যুভয়কে সঙ্গী করে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে নদী পারাপার করছে চোপড়ার মানুষ। এখানে নৌকায় রশি টেনে নদী পারাপার হতে হয়। এভাবেই বর্ষাকালে চোপড়ার ডোক নদী পারাপার করেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বাইরে থেকে আসা মানুষজন সকলে। এতে প্রাণের যথেষ্ট ঝুঁকি থাকলেও বিকল্প ব্যবস্থায় এখনও গড়ে ওঠেনি।
আরও পড়ুন: পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য কলকাতায়, সেই সুযোগে ফাঁকা বাড়ি থেকে সবকিছু নিয়ে গেল চোর
প্রতি বছরই বর্ষায় ভেসে যায় ডোক নদীর উপর তৈরি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো। ফলে বর্ষাকালে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ দড়ি টানা নৌকার ভরসাতেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেন। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ধামোরগছ, ভেরভেরি সহ বেশকিছু গ্রামের মানুষদের ডোক নদী পেরিয়ে সদর চোপড়ায় আসতে হয়। এই নদীর উপর সেতু তৈরির দাবি অনেকদিনের। কিন্তু আজও সেই দাবি পূরণ হয়নি। ফলে জীবন ঝুঁকি রেখেই প্রতিদিন পার হতে হয় নদী।
নদীর পাড়ে আছে একাধিক স্কুল, কলেজ ও হাটবাজার। ফলে বর্ষাকালে ঝুঁকি নিয়ে দড়ি বাঁধা নৌকায় করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরও নদী পারাপার করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে বিপদ এড়াতে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণের জোরালো দাবি তুলেছে চোপড়াবাসী। বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থায়ী সেতু না হওয়াতে পাঁচ-সাতটি গ্রামের মানুষকে বর্ষার সময় ঘরবন্দি থাকতে হয়। বহু পড়ুয়া স্কুলে যেতে পারে না। রোগীদের রাতে হাসপাতালে পৌঁছতেও সমস্যা হয়।
পিয়া গুপ্তা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bridge, Uttar dinajpur News