জানা যায়, অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে মহিয়াড়ি নাথ বাড়িতে পুজো শুরু হয়েছিল মা সিদ্ধেশ্বরীর। দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর সূচনা হয় বলে কথিত আছে। এই পুজোর সূচনা করেছিলেন ডঃ শশীভূষণ নাথ। হরিশচন্দ্র নাথ হলেন শশীভূষণ নাথের বড় দাদা। বড়দা হরিশচন্দ্র নাথের রোগ মুক্তির জন্য মা সিদ্ধেশ্বরীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন শশীভূষণ। এরপর দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজোর সূচনা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: চিতাবাঘ ধেয়ে আসছে চারিদিক দিয়ে! ভয়ে ঘুম উড়েছে দেওগাঁও-এর
প্রচলিত বিশ্বাস হল, সেই সময় দেবী সিদ্ধেশ্বরীর কৃপায় নাথ পরিবারে প্রত্যেকের বিভিন্ন অসুখ সেরে যেত। কঠিন অসুখ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন হরিশচন্দ্র নাথ। সেই থেকেই প্রতি বছর এই কালী পুজোর দিন তিথি নক্ষত্র মেনে দেবী সিদ্ধেশ্বরীর আরাধনা করে নাথ পরিবার। সারাবছর এই পুজোর অপেক্ষায় থাকেন নাথ বাড়ির ৮ থেকে ৮০ সকল সদস্য।
পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকে নাথ বাড়িতে শুরু হয় প্রস্তুতি। কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর দিন দেবীর কাঠামো পুজো হয়। তারপর শুরু হয় মূর্তি গড়ার কাজ। নাথ বাড়ির সিদ্ধেশ্বরী মা কালীকে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় অড়হর ডালের খিচুড়ি। বাড়ির পুরুষ-মহিলারা একসঙ্গে মিলে পুজোর আয়োজন করেন। নিয়ম মেনে প্রতিবছর পুজোর বেশ কয়েকদিন আগে গঙ্গাজল নিয়ে আসা হয়। সেই জল দিয়ে পুজোর সমস্ত কাজ করা হয়। পুরোনো রীতি মেনে পুজোর দিন কুলো পিটিয়ে অলক্ষীকে বিদায় করে, লক্ষীকে ঘরে তোলা হয়। লক্ষ্মী পুজোর দিন দেবীর কাঠামো দিয়ে আসা হয়েছে পোটো পাড়ায়। যাবতীয় পুরনো রীতি মেনেই হয় নাথ বাড়ির দেবী সিদ্ধেশ্বরীর পুজো।
রাকেশ মাইতি