প্রথমটা শুনেই নিশ্চয়ই অবাক হয়ে গিয়েছেন। আসলে শৈশবে পুতুল নিয়ে খেলার অভ্যাস আজও রয়ে গিয়েছে তাঁর। শৈশবে পুতুল খেলতে খেলতেই পুতুল গড়তে শেখেন। যা এই বয়সকালেও সঙ্গী কবিতা দেবীর।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে প্রসব যন্ত্রণা, এরপর মহিলার সঙ্গে যা করল জিআরপি!
কবিতাদেবী নিজের হাতে গড়ছেন নানা ভঙ্গিমার মাটির পুতুল। হাতে তৈরি মাটির পুতুলকে রং, অলঙ্কার এবং বাহারি পোশাকে সাজিয়ে তুলছেন। উল, তুলো, টুকরো কাপড় ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন পুতুল তৈরি করেন। আবার মেলা থেকে পোড়া মাটির পুতুল কিনে সেগুলিকে নানা বাহারি সাজে সাজিয়ে তুলতেও কবিতাদেবীর ভাল লাগে। হাওড়ার বিখ্যাত আন্দুল রাজ পরিবারের সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্ক আছে। জন্ম থেকে শৈশব, বিবাহ, বয়সকাল পর্যন্ত কেটেছে রাজবাড়িতেই।
advertisement
নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে কবিতা চৌধুরী জানান, ঠাকুমা-জেঠিমাদের কাছেই প্রথম পুতুল তৈরি করতে শেখেন। ১৯ বছর বয়সে আন্দুলের চৌধুরী বাড়িতে বিবাহ হয়। সাংসারিক জীবনে বেশ কয়েক বছর ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পরবর্তীতে আবার পুতুল নিয়ে চর্চা শুরু করেন। সেই সময়ই মাথায় চাপে পুতুল তৈরির নেশা। পরিবারের ছোটদের কাছ থেকেই কখনও পুতুল বা তা তৈরির সরঞ্জাম চেয়ে নিয়ে তাদের নিত্য নতুন রূপে সাজিয়ে তোলেন এই বৃদ্ধা। এতেই তাঁর আনন্দ। আর ৮২ বছর বয়সে তাঁকে পুতুল খেলায় মজে থাকতে দেখে আনন্দ পায় পরিবারের বাকিরা।
রাকেশ মাইতি





