ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা, হেলমেট ব্যবহার করা, সিট বেল্ট পরা এবং ট্রাফিক লাইট অনুসরণ করে চলা। এই সচেতনতা বৃদ্ধিক প্রোগ্রাম জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে চলছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় কিছুটা কম হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: সিঁদ কেটে ৬টি বাড়িতে চোর! শিশুদের ঘরে ঢুকে ভয়ানক কাণ্ড, আতঙ্ক গোটা এলাকায়!
advertisement
তবে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে বর্তমান সময়ে, তা কীভাবে আটকানো যাবে? এ প্রসঙ্গে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ইনসিডেন্ট ম্যানেজার অশোক পায়রা জানান, জাতীয় সড়কের দুর্ঘটনা ঘটার পেছনে বেশ কয়েকটা কারণ রয়েছে। তিনি জানান সর্বদা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে সেই সমস্ত সমস্যা দূর করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন চিহ্ন।
জাতীয় সড়কের উপর দেওয়া রেলিং (পি জি আর) কাটা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য, জাতীয় সড়ক টপকে দোকানে খরিদ্দার আসে সেই ব্যবস্থা করছেন দোকানি। এভাবেই জাতীয় সরকারের বিভিন্ন স্থানে রেলিং কেটে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এই ঘটনা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল চেকড্যাম, তবু আজও পড়ে রয়েছে বেহাল অবস্থায়!
অবৈধ ট্রাক পার্কিংয়ের বিষয়ে অশোক বাবু জানান, ডিএম, এসডিও এবং এসপি ম্যাডামকে জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আন অথরাইজড পার্কিং, আন অথরাইজড এনকোলোজমেন্ট, ড্রিংকিং ড্রাইভ, আন অথরাইজড মিডিয়ান কাট। যদিও প্রশাসনের টেস্টিং এবং চেকিংয়ের মাধ্যমে ড্রিংকিং ড্রাইভ অনেকটা কম হয়েছে।
তবে অবৈধ দোকান এবং অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তীতে গড়ে ওঠার দোকানে খরিদ্দার জাতীয় সড়ক টপকে আসছে অথবা সড়কের উপর এসে দাঁড়াচ্ছে, তাতেই দুর্ঘটনা আশঙ্কা। প্রশাসন চাইলে সড়ক পরিষ্কার থাকবে। এই সমস্ত সমস্যা দূর হবে, কমবে দুর্ঘটনা। বড় কোম্পানিগুলির ট্রাক আসছে খুব বেশি পরিমাণে। ফলে অবৈধ পার্কিংয়ের মতো ঘটনা বাড়ছে ১৬ নং জাতীয় সড়কে।
রাকেশ মাইতি