ছোট বেলায় স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে জরির কাজকে রপ্ত করে নিয়েছিল অমল। এক সময় লেখাপড়া ছেড়ে পুরোপুরি জরির কাজে যুক্ত হয়, সে সময় থেকেই তার সঙ্গ দেয় ছোট ভাই শ্যামল। তবে প্রথম থাকে অমলের মন চাইতো অন্য কিছু করার, তবে একের পর এক বছর কেটে যেতে থাকে কাজের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই, সময় হয়ে ওঠেনি নতুন কিছু করার। হঠাৎই পৃথিবী জুড়ে করোনার দাপট। কিন্তু সেই করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু যখন থমকে পড়েছে, এমতবস্থায় হাতে কাজ নেই। অমলের হাতেও ছিল না কাজ, সেই সময়েই সুতো দিয়ে কারুকার্য শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মহিলাদের স্বনির্ভর করতে বিশেষ উদ্যোগ, চলছে জুয়েলারি তৈরির প্রশিক্ষণ
যদিও এই কাজ বছর পাঁচেক আগে একটু একটু শুরু করেছিলেন তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে জোরদার করে শুরু হয়, তারপর থেকেই গত দু'বছর ধরে পুরোপুরিভাবে সুতোর সাহায্যে ছবি বানিয়ে চলেছেন সে। এই কাজ শুরু করে তারপর একের পর এক অনবদ্য সৃষ্টি। কখনো তার হাতের ছোঁয়ায় মাদার টেরেজা, মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলি, মোনালিসা বা ভগৎ সিং আরোও কত কি! কঠোর ধৈর্য শক্তি ও সময়ের সাপেক্ষে তার হাতে তৈরি বিভিন্ন চিত্র। তার হাতে তৈরি শিল্পকলা রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে বা কখনো দেশের বাইরে।
আরও পড়ুনঃ আধুনিক সমাজে গীতার গুরুত্ব নিয়ে উলুবেড়িয়া কলেজে আন্তর্জাতিক সেমিনার
জানা যায়, ৩০-৪০ দিন বা তারও বেশি সময় লাগে এক একটি ছবি সম্পূর্ণ করতে। উপকরণ হিসেবে লাগে, রঙিন সুতো, সূচ এবং ক্যানভাস কাপড়। প্রথমে ক্যানভাস কাপড়কে টান করে ঢাড্ডায় টেঁকে নেওয়া হয়, তারপর ট্রেসিং পেপারে ছবিটিকে ড্রয়িং করে আউটলাইন সূচের সাহায্যে ফুঁটো করে নিয়ে, ট্রেসিং পেপার থেকে ক্যানভাস কাপড়ের ছাপা, সেই ছাপ দেখে কাপড়ে সুতোর কাজ শুরু হয়। অমল বাবু জানান তার তৈরি কাজ ভিন রাজ্যে ও বিদেশে পাঠানো থেকে নতুন কাজের অর্ডার তোলা। সমস্ত কিছুটাই সামাল দেন তার ছোট ভাই শ্যামল পল্ল্যে। জানা যায়, এই কাজে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড এর জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছেন শ্যামল বাবু।
Rakesh Maity