কয়েক বছর আগে মা ও ছেলের মধ্যে বাড়ি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। কিছুদিন পর সেই সমস্যা পৌঁছয় আদালত পর্যন্ত। তাতেই মা-ছেলের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। মা অশ্রুকনা দাস জানান, তাঁর ছেলে রাকেশ দাস মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। তারপর তিনি বাধ্য হয়ে দিদির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে থেকেই আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: হোলির শোভাযাত্রায় দুই পক্ষের বচসা, মারের চোটে কান ফাটল যুবকের!
অশ্রুকণা দাসের অভিযোগ, পুত্র রাকেশ দাসের বিরুদ্ধে। মারধর করে, পা ভেঙে, শ্বাসরোধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছিল ছেলে, এমনই মারাত্মক অভিযোগ তাঁর। মারধরের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিত ছেলে ও পুত্রবধূ। শেষমেশ প্রাণে বাঁচতে ঘর ছাড়া হয়েছিলেন তিনি। ডোমজুর বেগড়ী পূর্বপাড়ার নিজের ঘর ছেড়ে দিদির বাড়িতে ওঠেন। সেখানে থেকেই তিনি তাঁর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। একাধিকবার স্থানীয় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও সে সময় কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের মারাত্মক অভিযোগ, কুলতলিতে গ্রেফতার পূর্বপরিচিত যুবক
পরবর্তী সময় তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি বরাবরই আইনের উপর আস্থা রেখেছেন। সেই আস্থার বলেই অবশেষে তাঁর এই সাফল্য মনে করছেন তিনি। এদিন হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ি ফেরেন অশ্রুকণা দাস। এ প্রসঙ্গে পুত্র রাকেশ দাস জানান, তাঁর মা অশ্রুকণা দাসের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। মায়ের অধিকার থেকে কখনও বঞ্চিত রাখার চেষ্টা করা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
রাকেশ মাইতি