পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান ওয়াইল্ড লাইফ গ্রুপের সদস্য। ডোবা থেকে উদ্ধার হয় পাঁচটি গোসাপ ও চারটি বেজি মৃতদেহ উদ্ধার। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবেশ কর্মী শেখ জাকির হোসেন জানান, অনুমান করা হচ্ছে পুকুরের মাছ বাঁচাতে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া ফলে এই ঘটনা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এইরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা পরিবেশকর্মীরা গভীরভাবে শোকাহত। গোসাপের সঙ্গে বেজিগুলোও ওই বিষ মেশানো খাবার খেয়ে মৃত্যু হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে শ্যামপুরে বিষক্রিয়ায় কয়েকটা গোসাপকে হত্যা করার ঘটনা সামনে এসেছিল। তার পর এবারও এই একই ঘটনা।
advertisement
শ্যামপুরের পরিবেশকর্মী অভীকদের আক্ষেপ এত প্রচার অভিযান সত্বেও মানুষ পরিবেশের উপকারী বন্যপ্রাণীদের হত্যা করছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শ্যামপুরের আর এক পরিবেশকর্মী অর্পণ দাস জানান গোসাপ ১৯৭২ ভারতীয় বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী শিডিউল- ১ অন্তর্ভুক্ত। একে হত্যা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এলাকায় গিয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে ফের গোসাপ এর উপকারিতা বোঝানো হবে।
আরও পড়ুন, ৪০টি মৃতদেহে আঘাতের কোনও চিহ্নই নেই…! হাড়হিম সত্যি ফাঁস! ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?
আরও পড়ুন, পাটুলিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, সাঁতার কাটতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত ২ যুবক
পরিবেশ দিবসে এতগুলো বন্যপ্রাণ এর মৃত্যুতে যে তিনি যে মর্মাহত তা অর্পনের কথাতেই পরিষ্কার। স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন দোলই, তুষার মন্ডল, মিলন বর, সায়ন দাস কলেজ ছাত্ররা দুঃখপ্রকাশ করেছেন এই ঘটনাটা দেখে। সৌমেন দোলই বলেন, এই এলাকা থেকে এইরকম ঘটনা কোনওদিন আশা করেনি।
রাকেশ মাইতি