বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে রোদের উত্তাপ। শরীর সুস্থ রাখতে রোদ্দুর থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন মানুষ। গরমের দাপটে রাস্তাঘাট বাজার দোকান অনেকটাই ফাঁকা। দেখা যাচ্ছে একেবারে সকাল এবং সন্ধ্যায় বাজার দোকানে মানুষের ভিড় জমছে। প্রখর রোদের সময়টায় বেশিরভাগ মানুষ ঘরের মধ্যে থাকছে নিজেকে সুস্থ রাখতে। তবে ছবি বদল হয়নি ধুলাগোড় ট্রাক্টার মিনাস অর্থাৎ পাইকারি সবজি বাজারে। অসহ্য গরম ভরা দুপুরে রোদের প্রখরতা উপেক্ষা করে জমে উঠছে বাজার। দিনের বেলা পাইকারি সবজি বাজার।
advertisement
প্রতিদিন দুপুরে সবচাইতে বেশি ভিড় জমে বাজারে। ভিন জেলা থেকে এই বাজারে আসেন ক্রেতা বিক্রেতা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন। সকলে হাঁসফাঁস গরমে বেচাকেনা করছে। পাইকারি সবজি বাজারের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে মার্কেট অফিস গোডাউন। প্রতিদিন বহু মানুষের সমাগম। সারাদিন ব্যস্ততা বিক্রেতাদের। ক্রেতারা বাড়ি বোঝা নিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। দুপুর হলে অফিসের স্টাফেরা ও ক্লান্ত। গরমে এই ক্লান্তি ভাব দূর হচ্ছে শরবতে। ১০-১২ বছর ধরে একই ছবি ধুলোগড় পাইকারি সবজি বাজারে।
আরও পড়ুন: জীবন কৃষ্ণের বন্ধু কৌশিক! আসলে কে তিনি? হেফাজতে নিতেই চমকে ওঠা খবর পেল সিবিআই
বিশেষ করে এই তীব্র গরমে। বেচাকেনাতে করতে বেশ ধকল পোহাতে হয় সকলকে। গরমের সেই অসহ্য ভাব কিছুটা দূর হয় ঠান্ডা শরবতে। সবজি বাজারের এই ঠান্ডা শরবত বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সকলের কাছে।
পাতিলেবু বিটনুন মসলা এবং বরফের কুচি। এক ঢোকেতেই যেন পরম তৃপ্তি। সাইকেলে চড়ে শরবতের প্রসরা নিয়ে এই গরমের সময় প্রতিদিন হাজির ধুলোগর পাইকারি সবজি বাজারে।
বিক্রেতা সারক লস্কর জানান, দশটা বাজলেই শরবত তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে সাইকেলে করে এখানে চলে আসা। বেলা গড়িয়ে দুপুর সর্বক্ষণ চলে শরবত ফেরি। এবার গরম বাড়তে চাহিদাও বেড়েছে বেশ। সময়ের আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে শরবত। বিক্রেতা ওয়াশেল আলি মোল্লা জানান, প্রায় ১২ বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে হাওড়া জেলায় জরির কাজ করতে আসা। তখন জরির কাজের বাজার খারাপ এই বাজারে এসে দেখি প্রচুর লোক গরমের দিনে প্রতিদিন আসছেন। তা দেখেই শরবত বিক্রি করার চিন্তাভাবনা আসে।
রাকেশ মাইতি