কয়েকদিনে কয়েকশো কেজি আচার বেচাকেনা হয়েছে এক-একটি দোকান থেকে।বাংলা ক্যালেন্ডারে বৈশাখ দিয়ে হয় বছর শুরু। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম নববর্ষ । বাংলার বছর শুরু হয় যেমন আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে। তেমনি বছরের শেষের উৎসবও কিন্তু মন্দ নয়। বাঙালি বছরের শেষে গাজন উৎসবে মেতে ওঠেন রীতি মেনে।
আরও পড়ুন: ইদের আগে চরম ব্যস্ততা! এলাহী কাণ্ড চলছে লাচ্ছা-সেমাই তৈরির প্রাচীন কারখানায়! দেখলে চমকে যাবেন
advertisement
চৈত্রের গাজন উৎসব হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জাঁকজমক করে অনুষ্ঠিত হয়। এই গাজন উৎসব চৈত্র মাসের শেষ দিক থেকে চৈত্র সংক্রান্তি বা ১ লা বৈশাখ পর্যন্ত হয়। গাজন উৎসবে বিভিন্ন রীতি-নীতির সঙ্গে কয়েকদিন মেলাও জমে ওঠে।
হাওড়ার ডোমজুড় নারনা পঞ্চনন্দের বিখ্যাত গাজন উৎসবে বসে এই আচাড়ের মেলা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন লক্ষাধিক মানুষ। নারনা পঞ্চানন্দের মেলায়। এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ কুলের আচার। যদিও কুলের আচারের পাশাপাশি তেঁতুল ও চালতা আচারও পাওয়া যায়। বড় বড় ডেচকিতে করে আচার সাজানো থাকে দোকানে।
আরও পড়ুন: ব্যাগ, পুতুল সহ বাকি সামগ্রী! মহিলাদের কাজ সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে
আচাড় বিক্রেতাদের অধিকাংশই স্থানীয়। দশকের পর দশক তারা এই মেলায় ব্যবসা করে আসছেন। শিয়ালদহ থেকে গুড় আমদানি করে তৈরি হয় আচার। গাজন উৎসবের বেশ কিছুদিন আগে থেকে চলে আচার প্রস্তুতি। কুলের এই আচার সন্ন্যাসীরা প্রসাদ হিসেবে নিয়ে যান, বলে জানিয়েছন বিক্রেতাদের একাংশ। কুলের মতোই তেঁতুল ও চালতার আচারও বেশ সুস্বাদু। মেলার শুরুতে আচারের দাম একটু চড়া হলেও ভাঙ্গা মেলায় অর্ধেক দামেও আচার মেলে।
রাকেশ মাইতি