পাঁচলা দেউলপুর গ্রামের এক চিলতে টালির চালের বাড়িতে, মা পূর্ণিমা শিউলি , বড় ভাই অলোক শিউলি এর সঙ্গে থাকে অচিন্ত্য । ২০১১ সালে অচিন্ত্য শিউলির প্রথম ভারত্তোলনে দাদার হাত ধরেই যাওয়া। অভাবী সংসার, বাবা ভ্যান চালাতেন কোনওরকমে দিন পার হত। অর্থের অভাবে আধ পেটা হাফ বেলা খেয়ে দিন কাটত তাঁদের। ছোটবেলাতেই হঠাৎ বাবার মৃত্যু হয় পরিবারে অন্ধকার নেমে আসে। মা পূর্ণিমা দেবী দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে জরির কাজ করে কোন রকমে সংসার টানতে থাকেন। সংসার অচল,সে সময় বাবার মৃত্যুতে দাহ করবে সে সামর্থ্য ছিলনা । তবুও খেলা ছাড়েনি৷
advertisement
গ্রামের প্রশিক্ষক অষ্টম সিটের কাছে শিক্ষা।রবিবার ছিল দেউলপুর গ্রামের মানুষের কাছে এক অন্য দিন। সন্ধ্যা থেকে গ্রামের সমস্ত মানুষ ৮ থেকে ৮০ সকলের চোখ টিভির পর্দায়। গ্রামের প্রশিক্ষক অষ্টম বাবু, মা, দাদা পাড়া-প্রতিবেশি সকলেই টিভির সামনে সন্ধ্যা থেকেই বসে ছিলেন।
আরও পড়ুন - Commonwealth Games Gold Medal: শৈশবে বাবাকে হারিয়ে কঠিন লড়াই, ভারোত্তলনে সোনা জিতলেন বাংলার অচিন্ত্য শিউলি
শুরু থেকে খেলা শেষ হওয়া স্বর্ণপদক জয় দেখে তবেই অচিন্ত্যের বাড়ি থেকে তার গ্রামের অষ্ট বাবু বাড়ি যান। অচিন্ত্যর গ্রামের ক্লাব দেলপুর নেতাজি সুভাষ সংঘের পক্ষ থেকে রবিবার তোড়জোড় শুরু করেছিল গ্রামের ছেলের খেলা গ্রামবাসীকে দেখানোর জন্য, সন্ধ্যা থেকে রাস্তার মোড়ের মাথায় টিভির সামনে এক এক করে প্রায় দুশো জন গ্রামের পুরুষ মহিলা হাজির হয়ে যান।
পুরুষ থেকে মহিলা, ৮ থেকে ৮০ সকলেই রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে গ্রাম থেকে যেন, তারা অচিন্ত্যকে উৎসাহিত করছিল টিভির পানে চেয়ে চিৎকার করে। মালয়েশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে, সোনা জয় হতেই জাতীয় পতাকা ঢাক ঢোল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে গ্রাম জুড়ে উৎসবে মাতে গ্রামের মানুষ।
RAKESH MAITY