দেবী সিংহবাহিনী এখানে অষ্টভুজা কাঞ্চনবর্ণা, উচ্চতা দেড় মিটার। দেবী শ্বেত সিংহের উপর বসে আছেন।সারা বছরই বালিয়া পরগনার মানুষ দেবীকে কেন্দ্র করে নানা উৎসবে মেতে ওঠেন। দেবীর বাৎসরিক পুজা অনুষ্ঠিত হয় সীতানবমী তিথিতে। রামনবমীর একমাস পরে বৈশাখ মাসে হয়ে থাকে। সীতানবমীর তিন দিন আগে থেকে শুরু হয় চণ্ডীপাঠ।পুজার দিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কুড়িজন ব্রাহ্মণ সমবেত কন্ঠে মন্দিরের বারান্দায় চণ্ডীপাঠ করেন। বহু মানুষ গঙ্গা থেকে জল আনেন দেবীর উদ্দেশে নিবেদনের জন্য। সকালে এই জল নিবেদনের পর্ব শেষ হলে শুরু হয় মায়ের বিশেষ পুজো, আরতি ও গ্রামের কল্যাণার্থে বিশেষ হোমযঞ্জ।
advertisement
মহিলারা সেদিন মায়ের মন্দিরের সামনে সিঁদুর উৎসবে মেতে ওঠেন। সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতির পর হয় আতশবাজির প্রদর্শনী। পুজোর পরদিন হয় সিংহবাহিনী দেবীর অন্নকূট মহোৎসব। নাটমণ্ডপের মাঝখানে দেবীর জিহ্বা সমান অন্ন চূড় করে রাখা হয় এবং সিলিং থেকে একটি ঘটিতে ঘি ভর্তি করে রাখা হয় এবং ঘটি টি’র তলায় একটি ছিদ্র করা থাকে সেখান থেকে ঘি অন্নের উপর পরে, সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। অন্নের পুজো করা হয়। মঙ্গলঘট নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে পরিক্রমা করা বালিয়া অঞ্চল।
আরও পড়ুন: Motion Sickness: গাড়ি বা বাসে উঠলেই বমি পায়? এই কাজ করলেই দূর হবে সমস্যা!
তারপর ভক্তরা মায়ের অন্নকূট মহোৎসবের মহাপ্রসাদ সংগ্রহ করেন। দেবী সিংহবাহিনী দুর্গারই ভিন্ন রূপ। এলাকার মানুষজন দুর্গা পুজোর কয়েকদিন মা সিংহবাহিনীকেই দুর্গা রূপে পুজোকরেন ও অঞ্জলি দেন। লোকমুখে দেবীকে নিয়ে অনেক মাহাত্ম্য প্রচলিত আছে। এই ভাবেই বছরের পর বছর বালিয়া পরগনার মা সিংহবাহিনী পূজিতা হচ্ছেন। জানা যায়, সারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন বালিয়া গ্রামে।
রাকেশ মাইতি