আবারও হাসপাতালে ভাঙা পায়ের চিকিৎসা করাতে। তবে কোনওভাবেই হার মানেনি সে, সাথীর বাড়ি গোন্ডলপাড়া গ্রামে। বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে অনেকটা পথ যেতে সমস্যা হয়। তাই মামার বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করছে এখন। মামার বাড়ির পাশেই রয়েছে স্কুল তাই গত কয়েক বছর হল সেখানে থাকছে সাথী। সেখান থেকেই লেখাপড়া প্রতিদিন হুইল চেয়ারে চেপে যায় স্কুলে। যখন হুইল চেয়ার ছিল না মায়ের কোলে যাওয়া এবং মাটিতে বসেই ক্লাস। অসুবিধায় হত ভাল করে ক্লাসরুমের বোর্ড টি দেখাও যেত না, পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন হাওড়া পক্ষ থেকে হুইল চেয়ার পায়। তাতে দারুণভাবে সুবিধা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিষধর কেউটে পুজো দেখেছেন? মঙ্গলকোটের গ্রামে 'ঝঙ্কেশ্বরী' মন্দিরে পূজিতা হন এখনও
যেমন ক্লাস রুমে তার সুবিধা অন্যদিকে তার মায়ের কোলে উঠতেও দারুন সমস্যা দেখা দিত সে জানায়, মায়ের কোলে যেতে লজ্জা ও অসুবিধা হত তবুও স্বপ্ন পূরণ করতে সে লজ্জাও ত্যাগ দিয়েছিল। সারাদিন বাড়িতে বসে লেখাপড়া পাশাপাশি ছবি আঁকা, কখনও কোথাও শেখা হয়নি অঙ্কন। খাতা ভর্তি দারুণ সব আঁকা ছবি দেখে একটা কথাই মনে হয়চেষ্টা যে বিকল্প নাই! চেষ্টা থাকলে কিনা হয়। কোথাও আঁকা না শিখেই সুন্দর সুন্দর ছবি খাতায় ভর্তি করছে সাথী। কিছু ছবি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা লেমিনেশনও করে দিয়েছেন। তার এই লড়াইয়ে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষকা সহপরিবারের সবাই সামিল। ন্যাশনাল কোচ কাম জার্জ যোগ থেরাপিস্ট অনিমেষ বিশ্বাস জানান, অস্টিওপোরোসিস থেকেও অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায় যোগ অভ্যাসে। ভঙ্গুর হাড় মজবুত হওয়াও সম্ভব একমাত্র যোগ অভ্যাসে। ছোটবেলা থেকেযোগাভ্যাস করলে এই রোগের সম্ভাবনা ও থাকে না।
রাকেশ মাইতি