রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা, বাবা একজন ইউনিয়ন সদস্য ছিলেন। প্রদ্যুৎ বাবু তখন জোয়ান শরীর রাজনৈতিক রক্ত বইছে! তবে ডাক্তার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য ছিল কঠোর। ১৯৯৩ সালে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি পাস করে বাড়ি ফেরে। তারপর নিজের বাড়ির সামনেই সাধারণ মানুষের পরিষেবা দিতে ডাক্তারি চেম্বার চালু করেন। কয়েক বছর কাটতে না কাটতে ডাক্তার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায় ডা: প্রদ্যুৎ পাল। তারপর ১৯৯৮ সালে সক্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে যোগ দেয় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পদে।
advertisement
আরও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে টিকিট কেটেই কোটি টাকার লটারি পেল স্ত্রী! তারপর যা ঘটল, চমকে উঠবেন শুনলে
দীর্ঘ সময় পঞ্চায়েত সদস্য এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকেছেন। পাশাপশি ডাক্তারি, উভয় দিকেই নিখুঁত ভাবে নিজেকে শামিল রেখে এগিয়ে গেছেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে নিযুক্ত। একজন জনপ্রিয় ডাক্তার যার নাম দূর দূরান্তের মানুষের কাছে পরিচিত। মানুষ ভরসা নিয়ে আসেন রোগ মুক্তি পেতে। যারা আসেন তারা নিরাশ হয়ে ফেরেন না আজও। নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে রোগী দেখাই তাঁর দায়িত্ব বলে মনে করেন প্রদ্যুৎ বাবু। তিনি সর্বদা বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক মঞ্চে ভালো মানুষের আসা প্রয়োজন। ভালো মানুষ এলে তবেই দেশের নাগরিক ভালো থাকবে। তাই তিনি নিজেকেও রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে দূরে রাখেনি। পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে দায়িত্বভার আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। উভয় দিক অতি দক্ষতার সঙ্গে পালন করে চলেছেন। তাঁর হাত ধরে সাঁকরাইল ব্লকে ও জেলার মধ্যে অন্যতম হল সাঁকরাইল পঞ্চায়েত। বিশেষ করে তার কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়াকরণ। পঞ্চায়েত এলাকা অনেকটাই দূষণমুক্ত তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: 'দাদা, অর্পিতা ED-র চার্জশিটে বলেছেন...' গাড়ির পা-দানি থেকেই মুখ ঘোরালেন পার্থ! বললেন...
পাশাপাশি শুরু হতে চলেছে বর্জ মাল্টি লেয়ার প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ। তার মাধ্যমে পঞ্চায়েত এলাকাতেই একটা বাণিজ্যিক দিক খুলবে বলেই আশাবাদি। এটি জেলা পরিষদের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে। তিনি জানান এই সমস্ত ভালো কাজে জেলা পরিষদ ও ব্লকের সহযোগিতা সর্বদা রয়েছে। আর অল্প দিনের অপেক্ষা শুরু হতে চলেছে মাল্টি লেয়ার প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ। এলাকার সিংহভাগ মানুষই এমন পঞ্চায়েত প্রধান পেয়ে খুশি। প্রধান হিসেবে সাধারন মানুষের সর্বদা পাশে রয়েছেন বলেই জানালেন। একই কথা সাধারণ মানুষ থেকে পঞ্চায়েতে সদস্যের।
------রাকেশ মাইতি