এই হাটে হাঁস মুরগি থেকে গাছপালা-সহ বিভিন্নরকম প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যায়। যে সমস্ত জিনিস হয়তো অন্যত্র পাওয়া যাবে না, উলুবেড়িয়া হাটে তা সহজেই পাওয়া যায়। তাই গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন ক্রেতা। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার পশু পালনের মধ্যে উল্লেযোগ্য হল হাঁস,মুরগি৷ উলুবেড়িয়া এই হাটে গেলে চোখে পড়বে, ছোট বড় পোষার উপযোগী বিভিন্ন সাইজের হাঁস বা মুরগির ছানার সারি সারি পসরা৷ কোনওটা ঝুড়িতে, কোনওটা আবার খাঁচায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
advertisement
এর পাশাপাশি গ্রামীণ হাওড়ার আমতা, বাগনান থেকে বহু ব্যবসায়ী সপ্তাহে একদিন উলবেড়িয়ায় এসে হাজির হন বেত বা বাঁশের তৈরি ঝোড়া চুবড়ী,চাচারি,ধামা ইত্যাদি নিয়ে। দানাশস্য ,জামাকাপড় ,ব্যাগ , এমনকি লোহার তৈরিও নানা জিনিসের পসরা বসে প্রাচীন এই হাটে।
আরও পড়ুন: হাওড়া পুরসভা এলাকার মানুষের বড় সুবিধা! অনলাইনেই পেয়ে যাবেন বিল্ডিং প্ল্যান
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে সচেতনতায় হাতিয়ার পথনাটিকা
দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে হাটের আগের দিন এসে উলবেড়িয়াতে হাজির হন আটল বা ঘুনি ব্যবসায়ীরা। তারা জানালেন, এ বছর অন্যান্য বছরের থেকে বাজারে খানিক মন্দা, তবে আশায় আছেন বেচাকেনা হবে। নানা জিনিসের সঙ্গে বসে ফল ও ফুলের গাছের সম্ভারও৷ একসময় এই হাটে সকালে পাখির বাজারও বসত। তবে আইনি বেড়াজালে তা বন্ধ হয়েছে।উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় কুমার দাস জানান, প্রায় ৩০০ বছর পুরানো এই হাট, দিন দিন কয়েকশো মিটার এলাকা জুড়ে হাটের পসরা বেড়েই চলেছে। সুত্রের খবর, আগামী দিনে পৌরসভা থেকে ও সরকারিভাবে এই হাটকে আরও সুন্দরভাবে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রাকেশ মাইতি





