আর এই অকাল বর্ষণে শীতকালীন বেশ কিছু শাকসবজি ও ফুল চাষের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষীরা। একটানা বৃষ্টিতে জমিতেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে বহু ফুল। তাই মাথায় হাত হাওড়ার উলুবেড়িয়ার ফুল চাষীদের। অন্যদিকে, জমিতে একটানা বৃষ্টিপাতের জেরে জল জমে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই বহু চাষী মাঠে নেমে পড়েছেন ফসল তোলার জন্য। পালং শাক, ফুলকপি, বেগুন পূর্ণাঙ্গ সাইজে আসার আগেই পচনের ভয়ে জমি থেকে তুলে নিচ্ছেন হাওড়ার সবজি চাষীরা ।
advertisement
ফসল তুলতে তুলতে এইরকমই বাগনানের এক সবজি চাষী নরেন করাতি জানান , "এই অকাল বৃষ্টিতে জলের মধ্যে ফুলকপি ফেলে রাখলে তাতে দাগ পড়ে যায়। পরে বিক্রি করতে যাবার সময় সমস্যা হয়। অনেকেই কিনতে চান না। তাই আগে ভাগেই তুলে নিলাম। আরেকটু বড়ো হলে পিস প্রতি ছয় থেকে সাত টাকা করে পেতাম, অগত্যা ছোটো সাইজের কপিগুলো চার-পাঁচ টাকাতেই বিক্রি করতে হবে।" পাশাপাশি এই দুর্যোগের ফলে যে সমস্ত চাষী ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন, তাদের ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেকটাই বাড়বে বলেও জানান তিনি ।
এই অকাল বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই একলাফে অনেকগুন দাম বেড়েছে কাঁচা অনাজের। সিম, টমেটো, পালংশাক, এমনকি ফলন নষ্টের ফলে, আলুরও দাম বেড়েছে অনেকটাই। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ফাঁড়া কাটলেও এই অকাল বর্ষণে বাজারের আগুনের আঁচ কাটানোই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ মধ্যবিত্ত বাঙালির, সেকথা বলাই যায়।
Santanu Chakraborty