২০-২৫ রকমের পশু পাখির ডাক, সঙ্গে সানাই বা তানপুরার মতো সুর ওঠে সন্ন্যাসীর মুখে। তার এই প্রতিভার জেরে বহু মানুষের প্রিয় পাত্র তিনি। নিজের প্রতিভার জন্যই টেলিভিশনে রঙ্গ, রস এবং দূরদর্শনে অভিনয়ের সুযোগও মিলেছিল। যদিও কপাল মন্দে সেই অভিনয়ের পথ লম্বা হয়নি। তবে লোক হাসিয়ে মঞ্চানুষ্ঠান করে দিব্যি দিন কাটছে রসিকের। পরিবারে অভাব রয়েছে, সেই অভাব ঘোচাতে লড়াই জারি রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পেট্রল পাম্পে দাউদাউ আগুন! অগ্নিদগ্ধ তিন যুবক, ভয়াবহ কাণ্ড বসিরহাটে
ছোট্ট দোকান চালিয়ে কেটে গিয়েছে অনেকগুলি বছর। সন্ন্যাসী ৫০ বছর পার করেছেন কয়েক বছর হল। বাল্যকাল থেকে একটু একটু করে অভ্যাস। বর্তমানে খুব কম সময়েই নকল করতে পারেন তিনি। প্রায় ২০-২৫ রকম পশুপাখির শব্দ শিখে ফেলেন তিনি। সংসারে স্ত্রী, পুত্র এবং এক বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কন্যা নিয়ে চারজনের সংসার।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই পাল্টে যাবে আবহাওয়ার খেলা! ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়ছে কোথায়? বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
সন্ন্যাসী নস্কর জানান, ‘‘অভাব অনটন রয়েছে। তবে একজন শিল্পী হিসাবে যে সম্মান পেয়েছি তাতে অসন্তুষ্ট। পরিবারেও বহু অভিযোগ। মানুষের করতালি, ভালবাসা, সংবর্ধনা আমার কাছে অনেক দামি। না-ই বা হল ব্যাপক ব্যাঙ্ক ব্যালান্স।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘তখন বয়স আমার ১২ বা ১৩ বছর। সবে কয়েক বছরে কয়েকটা পশুপাখির ডাক বলতে শিখেছি। বেশ পছন্দ করছে সবাই। তখনও ভাবিনি এটাই পেশা হয়ে দাঁড়াবে। সে সময় ২০০ টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। বর্তমানে ২ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। তবে আগের তুলনায় কাজ কমেছে। সঙ্গ ছাড়েনি অভাব অনটন। তবে বর্তমান সময়ে হাসতে ভুলে যাওয়া মানুষকে হাসিয়ে নিজে আনন্দে থাকার চেষ্টা করি।’’
নলপুর স্টেশন লাগোয়া ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানেই সময় কাটে সন্ন্যাসীর। প্রতিদিন নিয়ম করে দোকানে হাজির হন। তাঁর অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ। এমনই জানালেন স্থানীয় বাবুলাল কিসকুর মতো অনেকেই।
রাকেশ মাইতি