কেরোসিন ছোটখাটো ব্যবসা, বাড়ির রান্নার কাজের পাশাপাশি চাষের কাজে জল সেচের জন্য পাম্প চালাতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই অতি প্রয়োজনীয় কেরোসিনের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির ফলে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। আমফানের পর থেকেই হু হু করে বাড়তে শুরু করে কেরোসিনের দাম। ধীরে ধীরে কেরোসিনের উপর থেকে ভর্তুকি তুলে নিতে থাকে কেন্দ্র। বর্তমানে তার লিটার পিছু দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি।
advertisement
আরও পড়়ুন: সন্ধে হলেই এই বিখ্যাত স্কুলের মাঠে বসে মদের আসর!
বর্তমানে বেশিরভাগ পরিবার গ্যাসে রান্না করলেও এখনও বেশ কিছু পরিবার থেকে গিয়েছে যারা কেরোসিনে রান্না করে এমন মানুষদের অবস্থা এই দাম বৃদ্ধির কারণে অত্যন্ত খারাপ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। কেরোসিনের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে গ্রামের দিকে মানুষ সন্ধ্যের পর বিদ্যুৎ চলে গেলেও হ্যারিকেন জ্বালাচ্ছে না।
গ্রামাঞ্চলে ছোটখাটো হাতের কাজ বা কুটির শিল্পের কাজে কেরোসিন ব্যবহার হয়ে থাকে। সেই সমস্ত কাজও ব্যাহত হচ্ছে। বেবি সিং নামে হাওড়ার এক মহিলা বলেন, মাঝেমধ্যে গ্যাসের সমস্যা হলে স্টোভে রান্না করতাম। কিন্তু কেরসিনের দাম প্রচন্ড বেড়ে যাওয়ায় সেই খরচ সামলাতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে কেউ বেশি টাকা খরচ করে কেরোসিন কিনতে চাইলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। সাঁকরাইলের বাসিন্দা কমলাপদী চৌধুরী জানান, বানিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের বাস। লকডাউনের সময় এখানকার বহু মানুষ কাজ হারান। ১০০ দিনের কাজ করে কোনও মতে সংসার চলছিল সেটাও বন্ধ। বাড়িতে বিদ্যুতের জ্বালানোর ক্ষমতা নেই অনেকের। আবার গ্যাসের কানেকশন থাকলেও সিলিন্ডার কেনার টাকা যোগাড় করতে পারেন না অনেকে। সেইসব মানুষের জন্য কম পয়সার কেরোসিন অনেকটাই সুবিধাজনক ছিল। কিন্তু এতটা দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও আর কিছু করতে পারছেন না।
রাকেশ মাইতি