পঞ্চায়েত নির্বাচন দোরগোড়ায়। এমন সময় আমরা পৌঁছলাম হাওড়ার পাঁচলা জলা বিশ্বনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা। স্থানীয় কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলে ভাল মন্দ উভয় দিক উঠে এলো। জানা যায়, গত পাঁচ বছরের মধ্যে বর্তমান প্রধান তিন বছর প্রধানের আসনে আসীন। তাঁর তিন বছরের যা উন্নয়ন হয়েছে তাতে যথেষ্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: মাটির টালি তৈরির কারবার শেষের পথে, সঙ্কটে মালিক থেকে শ্রমিক
মানুষের পরিষেবা থেকে সরকারি কাজকর্ম সঠিক ভাবে হয়েছে বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের। প্রধানের এই কথার সঙ্গে সহমত জনগণের একাংশের। কারণ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথমের দু বছর সাধারণ মানুষের জন্য সেভাবে কাজ হয়নি। মানুষ পঞ্চায়েতে গিয়েও পায়নি পরিষেবা দীর্ঘদিন। জানা যায় পরবর্তী সময়, পঞ্চায়েত প্রধানের দুর্নীতিজনিত কারণে তাকে প্রধানের আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই প্রধানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য এবং শাসক দল। তারপর আসলাম মোল্লা নতুন পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে আসেন। গত তিন বছর থেকে সরকারি সমস্ত পরিষেবা সাধারণ মানুষ সুষ্ঠ ভাবে পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: উলুবেড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী হাটে নিষিদ্ধ পাখির দেদার ব্যবসা
এমত অবস্থায় বর্তমান প্রধানের কাজকর্ম বা পঞ্চায়েতের ভূমিকায় সন্তুষ্ট পঞ্চায়েত বাসি। একসময় যে পঞ্চায়েত থেকে পরিষেবা না পেয়ে মানুষ পঞ্চায়েত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। নতুন পঞ্চায়েত প্রধান আসার পর পঞ্চায়েত মুখী হয় এলাকার মানুষ। তবে এমন কর্মকাণ্ডের মাঝেও বেশ কিছু মানুষ বেসুর।
পাঁচলা জলা বিশ্বনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মেলো গ্রামের এক প্রায় ষাট ঊর্ধ্ব বয়সী মহিলা জানান, দীর্ঘদিন প্রতিশ্রুতি মিলছে শুধুই। আসেনি আবাস যোজনার ঘর, তেমনই বার্ধক্য বা বিধবা ভাতার সুবিধাও মেলেনি। গায়েন পাড়ার কিছু মানুষ জানালেন, নতুন পঞ্চায়েত প্রধানের হাত ধরে এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। ফলে এলাকায় শিশুদের জন্য লেখাপড়ার অনেক সুবিধা হয়েছে। তবে পানীয় জলের পরিষেবা এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তায় আলোর দাবি রয়েছে ওই এলাকার মানুষের। অন্যদিকে ' মোল্লাপাড়ার কিছুটা অন্তর পাশাপাশি দুটি কমিউনিটি টয়লেট তাতে খুশি এলাকার মানুষ। ওই এলাকার রাস্তাঘাট পানীয় জল বা কবরস্থান নতুন ভাবে পেয়ে ভীষণ ভাবে খুশি স্থানীয় মানুষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটে জিতিয়ে আবার এই প্রতিনিধিদের হাত ধরে নতুন সুবিধা পাবার অপেক্ষায় রয়েছেন এলাকার মানুষ। পঞ্চায়েতের পরিষেবা থেকে প্রকল্প সমস্ত কিছুই মানুষের ঘরে পৌঁছেছে বললেন স্থানীয়রা।কাজের নিরিখে পঞ্চায়েত প্রধান আশাবাদী, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের পাশেই থাকবে মানুষ।
রাকেশ মাইতি