তবে এই পছন্দের ফুলের তালিকা বেশ লম্বা। মানুষের পছন্দ অনুযায়ী তালিকায় রয়েছে নানা ফুল। কোনওটির গন্ধ, কোনওটির আকর্ষণীয় রূপ, আবার কোনওটির রং মনকে আকৃষ্ট করে। বেশিরভাগ মানুষের পছন্দের তালিকায় গোলাপ, ইনকা, গন্ধরাজ, পদ্মের মতো নানা ফুল থাকলেও বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘নন্দিনী’ (liseanthus)। এই ফুল অনেকটা গোলাপের মতো দেখতে। বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করে ফুলের মিষ্টি রং।
advertisement
আরও পড়ুন: মাঝরাতে পরিবারকে ঘরে আটকে রেখে উঠোন থেকে টোটো চুরি! তীব্র চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়
আরও পড়ুন: বড়ঞার কল্যাণপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন ভবনের উদ্বোধন
দেড় থেকে আড়াই তিন ফুট উচ্চতার গাছ। টবে বা বাগানের মাটিতে সহজে বেড়ে ওঠে। এক একটি গাছে একাধিক ফুল ফোটে। বিশেষ করে এই ফুল পছন্দের তালিকায় থাকার যে কারণ, তা হল গরমের সময় এই ফুল ফোটে। সাধারণত শীতকালে বাহারি বিভিন্ন রকমের ফুল ফোটে। সেই দিক থেকে ব্যাতিক্রমী এই নন্দিনী। গরম পড়লে এই গাছ তরতর করে বেড়ে ওঠে। বৈশাখ মাসের শুরুতে কুড়ি আসে গাছে। তার পর বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসে গাছে নানা রঙের ফুল ফোটে। যা এই গরমের সময় বাগান রঙিন এবং সৌন্দর্য করে রাখে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ রঙের নন্দিনী ফুল দেখা যায়। বাগানে যেমন সৌন্দর্য ছড়ায়। তেমনই এই ফুল ঘরের মধ্যে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ফুলদানিতে তরতাজা থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ঘরের অন্দরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দারুণভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নন্দিনী ফুল। ঘর ও বাগান সাজাতে বিদেশের মতোই ব্যবহার হচ্ছে আমাদের দেশে। ক্রমশ এই নন্দিনী ফুলের চাহিদা বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে তাপস বাঙাল বলেন, ‘‘নন্দিনী সম্পর্কে জেলার খুব বেশি মানুষের পরিচয় ছিল না কয়েক বছর আগে পর্যন্ত। গত দু’তিন বছরে কয়েক হাজার মানুষকে নন্দিনী গাছের চারা উপহার দিয়েছি। অনলাইনে আমদানি করে তা থেকে চারা তৈরি করেছিলাম। তারপর প্রতিবছর হাজার হাজার চারা তৈরি। এই নন্দিনী গাছের চারা নিতে দারুণ আগ্রহ দেখা গিয়েছে মানুষের মধ্যে। মানুষ দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন নন্দিনী গাছের চারা নিতে। কেউ নন্দীগ্রাম, দুই চব্বিশ পরগনা, মেদিনীপুর, হুগলি-সহ নানা জেলা থেকে। এই গরমে তাদের অনেকেরই বাগান সৌন্দর্য করে রেখেছে রং বেরঙের নন্দিনী।’’
রাকেশ মাইতি